সাভার (ঢাকা): ঢাকার সাভারের আশুলিয়ায় অন্যের জমি জোর করে কেটে বিলের ওপর মাটি ফেলে সরকারি সড়ক তৈরি করার অভিযোগ উঠেছে এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় থানায় ও পরিবেশ অধিদপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী জমির মালিক।
মঙ্গলবার (০৪ এপ্রিল) দুপুরে আশুলিয়ার পাথালিয়া ইউনিয়নের বিজয়নগর গিয়ে মাটি কাটার এমন চিত্র দেখা গেছে।
এরআগে, গত ২৭ মার্চ মাটি কাটার বিষয়ে আশুলিয়া থানায় ওই ইউপি সদস্যকে প্রধান অভিযুক্ত করে একটি অভিযোগ করা হয়। এছাড়া একই দিনে পরিবেশ অধিদপ্তরের সদর দপ্তরে একটি অভিযোগ করা হয়।
অভিযুক্ত সফিউল আলম সোহাগ সাভার উপজেলার পাথালিয়া ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের সদস্য ও আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, আশুলিয়া থানার সেনওয়ালীয়া মৌজায় জালালাবাদ ব্রিকস লিমিটেড কয়েকটি দাগে ৫৪ দশমিক ২৯ শতাংশ জমি একোয়ার সূত্রে মালিক হয়ে ৫০ বছর ধরে ভোগ দখল করছেন। সেই জমিটিতে সুপ্রিম কোর্টে একটি মামলা চলমান রয়েছে। এ সুযোগে স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. সোহাগ মেম্বার সে জমি থেকে ভেকু দিয়ে শত শত ট্রাক মাটি কেটে নিয়ে যায়। বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে গেলে সোহাগ মেম্বার প্রাণনাশের হুমকি দেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য সফিউল আলম সোহাগ বাংলানিউজকে বলেন, ১ হাজার ৫০ ফিট দৈর্ঘ্যের একটি সড়ক তৈরি করেছি। এতে দুই অঞ্চলের সংযোগ স্থাপন হবে। আমি সড়কটির সভাপতি। আমরা যেখান থেকে মাটি আনছি সেই জমিতে যদিও একটু জটিলতা রয়েছে। সেই দুই পক্ষকে ম্যানেজ করেই আমরা মাটি কাটতেছি।
সাভার উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) জিল্লুর রহমান রাশেদ বাংলানিউজকে বলেন, ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের বিশেষ অনুদানে এ সড়কটি নির্মাণের জন্য ৩৩ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সড়কটির মাঝখানে একটি ৩৯ ফিট কালভার্টও থাকবে৷ মাটি কোথায় থেকে নিয়ে সড়কে দেওয়া হচ্ছে সেটি আমাদের জানার বিষয় না। তবুও আমি ওই সদস্যের সঙ্গে কথা বলবো মামলা জটিলতা সংক্রান্ত জমি থেকে মাটি রাস্তায় না দেয়।
অভিযোগের বিষয়ে আশুলিয়া থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আলাউদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, আমরা এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তবে বিবাদী পক্ষ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি হওয়ায় একটি সরকারি ট্রেনিংয়ে থাকায় তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে দুই পক্ষের জমির কাগজপত্র দেখে সিন্ধান্ত নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১২ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৪, ২০২৩
এসএফ/জেএইচ