ঢাকা, মঙ্গলবার, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

থানায় আটকে রেখে মারধরের অভিযোগ, ওসিসহ ৫ জনের নামে মামলা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট     | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০০৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ৫, ২০২৩
থানায় আটকে রেখে মারধরের অভিযোগ, ওসিসহ ৫ জনের নামে মামলা

নাটোর: থানায় আটকে রেখে মারধর ও টাকা দাবির অভিযোগ এনে নাটোরের বাগাতিপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি), দুই উপ-পরিদর্শকসহ (এসআই) পুলিশের পাঁচ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মো. নিজাম উদ্দিন (৩৩) নামে এক কাঠ ব্যবসায়ী আদালতে মামলা দায়ের করেছেন।

মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলার বাগাতিপাড়া আমলী আদালতে এ মামলাটি দায়ের করেন তিনি।

এ সময় আদালতের বিচারক অভিযোগটি গ্রহণ করে জেলা পুলিশ সুপার এবং পিবিআইকে তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেন।

এছাড়া আগামী ১৮মে এই মামলার পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। আদালতের বেঞ্চ সহকারী রাজু আহমেদ মামলাটি দায়েরের বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন। একই সঙ্গে বাদীর আইনজীবী মসলেম উদ্দিন জানিয়েছেন, নিজাম উদ্দিন আসামিদের জুলুমের শিকার হওয়ার কারণে বাধ্য হয়ে মামলাটি করেছেন।

মামলায় বাগাতিপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম, দুই উপ-পরিদর্শক (এসআই) রবিউল ইসলাম ও শাকিল আহমেদ, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আবদুল করিমের স্ত্রী অঞ্জনা বেগম ও তাঁর বাসার তত্ত্বাবধায়ক আবুল বাসারকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। নিজাম উদ্দিন উপজেলার যোগীপাড়া গ্রামের মৃত আবুল কালামের ছেলে এবং পেশায় একজন কাঠ ব্যবসায়ী। তিনি এ মামলায় ন্যায় বিচার চেয়েছেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামি অঞ্জনা বেগম বাৎসরিক ভাড়ায় বাদী নিজাম উদ্দিনের কাছে দুটি পাওয়ার ট্রিলার ইজারা দেন। কিন্তু পাওয়ার ট্রিলারের বৈধ কাগজপত্র না থাকায় কাঠ পরিবহনের সময় তিনি বারবার হয়রানির শিকার হচ্ছিলেন। এক বছর পর তিনি পাওয়ার ট্রিলারটি তাঁকে (অঞ্জনা) ফেরত দেন এবং ১৫ হাজার বাকি রেখে সব ভাড়া পরিশোধ করে দেন।

কিন্তু গত ২২ ফেব্রুয়ারি অঞ্জনা বেগমের হয়ে বাগাতিপাড়া থানার ওসিসহ অন্যান্য কর্মকর্তা নিজামকে থানায় ডেকে নিয়ে আটকে রাখেন। এক পর্যায়ে মারধর করে তাকে দিয়ে ৩টি নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা পরিশোধ করতে হবে মর্মে সই করিয়ে নেন। এরপর টাকা না দিতে পারায় তারা ২৫ ও ২৭ মার্চ তাঁকে (নিজাম) আবার আটক করে প্রাণনাশের হুমকি দেন। তখন ব্যবসা করতে না দেওয়ারও হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করা হয়। পুলিশের হুমকির কারণে বর্তমানে তিনি ব্যবসা বন্ধ করে বেকার জীবন যাপন করছেন।

বাগাতিপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, এ ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না। তবে পাওয়ার ট্রিলারের ভাড়ার ব্যাপারে তাঁর কাছে লিখিত অভিযোগ এসেছিল। ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুই পক্ষকে আপস-মীমাংসার চেষ্টা করেছেন। এর বেশি কিছু তার জানা নেই। এমনকি কাঠ ব্যবসায়ী নিজামকে থানায় আটকে মারধর ও টাকা দাবির ঘটনাই ঘটেনি। যদি এ ধরনের অভিযোগ আদালতে দিয়ে থাকেন, তবে তা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।

বাংলাদেশ সময়: ১০০৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ৫, ২০২৩
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।