ঢাকা: ঢাকা শহরের কোনো স্থানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলে ফায়ার ব্রিগেডকে আগুন নেভানোর জন্য পানির উৎস খুঁজে বের করতে প্রচণ্ড বেগ পেতে হয়। সরু রাস্তায় পানি বহনকারী গাড়ি প্রবেশ করতে না পারাও একটি বড় সমস্যা।
যেখানে উন্নত বিশ্বে আগুন নেভানোর জন্য ফায়ার হাইড্রেন্ট (অগ্নি নির্বাপক কাজে ব্যবহৃত বিশেষ পানি কল) ব্যবহার করা হয়। যদিও এ ব্যবস্থা বাংলাদেশে নেই।
সম্প্রতি দেশে বিভিন্ন স্থানে প্রতিনিয়ত অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে। যার মধ্যে পুরান ঢাকা অন্যতম। সেখানে ফায়ার হাইড্রেন্ট ব্যবস্থা থাকলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমানো সম্ভব বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এদিকে সচেতন মহলের দাবি, যত ব্যয় হোক না কেন অগ্নি দুর্ঘটনা কমাতে সব এলাকায় ফায়ার হাইড্রেন্ট বসানো দরকার।
তবে, পুরান ঢাকায় নতুন করে ফায়ার হাইড্রেন্ট স্থাপন করা খুবই দুরূহ এবং অত্যন্ত ব্যয়বহুল তাই সিটি করপোরেশনের একার পক্ষে এটা সম্ভব নয় বলে মনে করছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। তাই এখানে সরকারের সহযোগিতার প্রয়োজন আছে বলে মনে করছেন তিনি।
বুধবার (৫ এপ্রিল) রাজধানীর খিলগাঁওয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন- গোড়ান খেলার মাঠের উন্নয়ন ও নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের সময় ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এ কথা বলেন।
মেয়র তাপস বলেন, ফায়ার হাইড্রেন্ট ব্যয়বহুল তাই আপাতত বিকল্প হিসেবে পর্যাপ্ত জলাশয় রাখা যায় কিনা সেটার দিকে আমরা নজর দেবো। আর নতুন এলাকাগুলো যেগুলো আমরা পরিকল্পিত আকারে নির্মাণে যাচ্ছি সেখানে এ ফায়ার হাইড্রেন্টের ব্যাপারটা আমরা বিবেচনা করব। যদিও ফায়ার হাইড্রেন্ট বিষয়টা অত্যন্ত ব্যয়বহুল তাই সিটি করপোরেশনের একার পক্ষে এটা সম্ভব নয়। এখানে সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন আছে।
মেয়র আরও বলেন, ঢাকা নগরী যেভাবে অপরিকল্পিত সে হিসেবে বিশেষজ্ঞরা বলছে পুরান ঢাকায় নতুন করে ফায়ার হাইড্রেন্ট স্থাপন করা খুবই দুরূহ।
ফায়ার হাইড্রেন্ট হলো পানি সোর্সের সঙ্গে সংযুক্ত বিশেষ পানিকল। সাধারণত রাস্তার পাশেই এ ধরনের ফায়ার হাইড্রেন্ট স্থাপন করা হয়। এ কলের সঙ্গে ওয়াসার লাইন যুক্ত থাকবে। কোথাও অগ্নিকাণ্ড ঘটলে ঘটনাস্থলে পৌঁছে এ কলের সঙ্গে নল যুক্ত করে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা সরাসরি এ পানি দিয়ে আগুন নেভানোর কাজ করতে পারবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫২ ঘণ্টা, এপ্রিল ৫, ২০২৩
ইএসএস/জেএইচ