ঢাকা: আমরা তো গরীব মানুষ। ঈদে-চাঁন্দে বউ-পোলারে কিছু কিন্যা দিতে পারি না।
বুধবার (৫ এপ্রিল) রাজধানীর বঙ্গবাজার এলাকায় আনেক্সকো টাওয়ারের সামনে এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন দিনমজুর আব্দুল জব্বার।
রাজধানীর বঙ্গবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর সেখানে স্বাভাবিক হচ্ছে যান চলাচল। ফুটপাতের ব্যবসায়ীরা ফের সাজিয়ে বসেছেন জিনিসপত্রের পসরা। জীবন তো আর থেমে থাকে না। এরই ফাঁকে সেখানে উচ্ছিষ্ট কাপড়ের ভিড় ঘিরে জটলা পাকাচ্ছেন দারিদ্র্য মানুষ। প্রত্যাশা, যদি একটা ভালো শার্ট বা একটা প্যান্ট অথবা একটা শাড়ি মেলে।
সেখানে দেখা গেছে, ভবনটির সামনে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে আছে অসংখ্য পোড়া বা খানিকটা পুড়ে গেছে এমন কাপড়। আর, সেগুলো থেকে নিজের বা পরিবারের জন্য একটি কাপড় খুঁজছেন দারিদ্র বা সম্বলহীন মানুষ।
তাদেরই একজন হলেন আব্দুল জব্বার। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, আমি দিনমজুরের কাজ করি। ট্যাকা যা কামাই, মনে করেন চাইল-ডাইল কিইন্যাই শ্যাষ। তাই এনে (এখানে) জামা-কাপড় খুঁজতাছি। যদি কিছু পাই!
একই স্থানে কথা হয় সজীব হোসেন নামের একজনের সঙ্গে। তিনি বঙ্গবাজার এলাকায় একটা মুদি দোকানে কাজ করেন। ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা কাপড়ের স্তুপে তিনিও খুঁজছিলেন কাঙ্ক্ষিত জামা-কাপড়। বাংলানিউজকে সজীব বলেন, ব্যবসায়ীদের তো ক্ষতি হয়ে গেলো। আমরা গরীব মানুষ। ছেড়া-পোড়া পরলেও চলবে। তাই একটা শার্ট খুঁজতেছি। দুইটা টি-শার্ট কুড়িয়ে পেয়েছি।
এদিকে, বঙ্গবাজারে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সহায়তা করা হবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ইতোমধ্যে বলে দিয়েছি, আমরা যতটুকু পারি সাহায্য করব এবং কার কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে সেটা দেখব।
এছাড়া, অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের আর্থিক সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ৫, ২০২৩
এমকে/এনএস