ঢাকা: মাত্র এক মিনিটেই শেষ হয়ে গেছে ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গগামী ট্রেনের সব টিকিট। এখন পাওয়া যাচ্ছে যশোর-খুলনা, সিলেট, চট্টগ্রাম রুটের।
ঈদুল ফিতর উপলক্ষে শুক্রবার (৭ এপ্রিল) বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রথম দিনের টিকিট বিক্রি সংক্রান্ত এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, আগামী ১৭ এপ্রিলের আগাম টিকিট আজ সকাল আটটায় শুরু করে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। শতভাগ টিকিটি অনলাইনে হওয়ায়েএক মুহূর্ত দেরি হয়নি, উত্তরবঙ্গগামী যাত্রীরা সব টিকিট কিনে নেন।
উত্তরবঙ্গে পাশাপাশি শেষ হয়ে গেছে নেত্রকোনা রুটের হাওর ও মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসের টিকিট। তা ছাড়া আগাম টিকিট শেষ হয়ে গেছে ময়মনসিংহ, জামালপুর রুটের তিস্তা ও জামালপুর এক্সপ্রেসেরও।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাংলাদেশ রেলওয়ের যাত্রীদের সবচেয়ে বড় প্ল্যাটফর্ম ফেসবুকে। ‘বাংলাদেশ রেলওয়ে হেল্পলাইন’ নামে দেড় লাখ মানুষের এ গ্রুপে টিকিট পাওয়া না পাওয়া নিয়ে যাত্রীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস-হতাশা দেখা গেছে।
টিকিট না পেয়ে দিনাজপুরের ট্রেন যাত্রী মোহাম্মদ পলাশ লিখেছেন, প্রত্যেক স্টেশনের জন্য বরাদ্দকৃত টিকিটের পরিমাণ দেখেই বোঝা যাচ্ছে, সরষের মধ্যে ভূত লুকিয়ে আছে। আগে ঢাকা দিনাজপুর শোভন চেয়ার বরাদ্দ ছিল অনলাইনে ৯১ ও কাউন্টারে ৯১ মোট ১৮২ সিট থাকার কথা বাকি সিট কোথায় গেল?
আশিকুর রহমান নামের আরেক যাত্রী প্রশ্ন তুলেছেন, ১ মিনিটে সব টিকিট শেষ। কী করে সম্ভব? তার পোস্টে মোরশেদুল ইসলাম নামের এক যাত্রী কমেন্ট করে দাবী করেছেন, উত্তরবঙ্গের টিকিটের চাপ বেশি তাই তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যায়, চট্টগ্রাম বা অন্যান্য জেলার টিকিট থাকে।
রেলসেবা অ্যাপ থেকে যাত্রীরা ঈদের আগাম টিকিট কিনছেন যাত্রীরা। বাংলানিউজের এ প্রতিবেদক উত্তরবঙ্গের টিকিট না পাওয়ার তথ্য যাচাই করতে অ্যাপটিতে প্রবেশ করে সত্যতা পেয়েছেন। উত্তরবঙ্গের দিনাজপুর, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, রাজশাহী, লালমনিরহাটসহ সব স্টেশনের টিকিট কাটা হয়েছে। উত্তরবঙ্গের পঞ্চগড় রুটে যাতায়াতকারী দ্রুতযান ও পঞ্চগড় এক্সপ্রেস; লালমনিরহাটগামী লালমনি এক্সপ্রেস; রংপুর ও কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেসের টিকিট নেই।
ঢাকা থেকে রাজশাহীতে চলাচলকারী চারটি আন্তঃনগর ট্রেন- পদ্মা, সিল্ক সিটি, ধূমকেতু ও বনলতা এক্সপ্রেসের যাত্রী চাহিদা ব্যাপক। পাওয়া যায়নি কোনো ট্রেনের টিকিট।
ময়মনসিংহ, জামালপুর রুটে চলাচলকারী অগ্নিবীণা, ব্রহ্মপুত্র, যমুনা, জামালপুর ও তিস্তা এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট প্রথম এ ঘণ্টায় পাওয়া গেলেও পরে শেষ হয়ে যায়। সকাল পৌনে ১১টার দিকে এ রুটের হাজারো টিকিটের মধ্যে অবিক্রীত ছিল মাত্র পাঁচটি।
তবে পাওয়া যাচ্ছে যশোর-খুলনা রুটের চিত্রা ও সুন্দরবন, বেনাপোল রুটের বেনাপোল এক্সপ্রেস, সিলেট রুটের কালনী, পারাবত, জয়ন্তিকা, উপবন এক্সপ্রেসের টিকিট। মিলছে চট্টলা, সুবর্ণ, সোনার বাংলা এক্সপ্রেসের টিকিটও।
বিক্রি শুরুর প্রথম দিনেই উত্তরের সব টিকিট বিক্রি ও যাত্রী চাহিদা সম্পর্কে জানতে চাইলে সহজ জেভির নির্বাহী কর্মকর্তা সন্দ্বীপ দেবনাথ বাংলানিউজকে বলেন, অতি চাহিদার কারণে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে টিকিটগুলো বিক্রি হয়ে গেছে। আমরা কোনো অভিযোগ পাইনি। সার্ভার স্মুথ ছিল। প্রতি মিনিটে এক হাজার করে টিকিটি বিক্রি হয়েছে। যেগুলো পাওয়া যাচ্ছে, সেগুলোও বিক্রি হয়ে যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১১২২ ঘণ্টা, এপ্রিল ৫, ২০২৩
এনবি/এমজে