ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

সুন্দরবনে টর্নেডোর কবলে পড়া ২৫ মৌয়াল কারাগারে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ৭, ২০২৩
সুন্দরবনে টর্নেডোর কবলে পড়া ২৫ মৌয়াল কারাগারে

সাতক্ষীরা: মধু আহরণের পাশ নিয়ে সুন্দরবনে যাওয়ার পর টর্নেডোর কবলে পড়ে পথ হারানো ২৫ মৌয়ালকে আটক করেছে বনবিভাগ। পরে তাদের বিরুদ্ধে সুন্দরবনের অভয়ারণ্য ঘোষিত এলাকায় অবৈধভাবে প্রবেশের অভিযোগে মামলা দেওয়া হয়।

শুক্রবার (০৭ এপ্রিল) তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার (০৬ এপ্রিল) বিকেলে পশ্চিম সুন্দরবনের হলদেবুনিয়া এলাকার বিভিন্ন খাল ও নদী থেকে তাদের আটক করা হয়।

যদিও বন বিভাগের দাবি, সুন্দরবনের অভয়ারণ্য এলাকা থেকে আটক এসব বনজীবীর সুন্দরবনে প্রবেশের অনুমতি ছিল না। এ সময় আটকদের কাছে থেকে তিনটি ডিঙি নৌকা জব্দ করার দাবি করছেন বন কর্মকর্তারা।

আটকরা হলেন- মো. আব্দুর রাজ্জাক, আফছার গাজী, শাহাদাৎ হোসেন, মো. হাকিম গাজী, সফিকুল ইসলাম, ইউনুস আলী সরদার, শহিদুল গাজী, কেরামত মিস্ত্রি, কামরুল ইসলাম, মো. ইদ্রীস আলী, মাকসুদুল আলম, মো. সাদ্দাম হোসেন, হযরত আলী শেখ, আবু হানিফা, হয়রত আলী, মো. আলাউদ্দীন মালী, কামরুল ইসলাম (২), আমজিয়াদ মালী, ইসমাইল হোসেন, মো. জুব্বার আলী, সামাদ আলী, সফেদ আলী গাজী, মনিরুল ইসলাম, শাহ আলম ও লিয়াকত হোসেন। এসব জেলেরা সাতক্ষীরা শ্যামনগর উপজেলার ৯ নম্বর সোরা, চাঁদনীমুখা ও ডুমুরিয়া এলাকার বাসিন্দা।

আদালতে পাঠানোর আগে আটক জেলেরা জানান, গত ২ এপ্রিল বুড়িগোয়ালীনি স্টেশন থেকে মধু আহরণের পাশ নিয়ে তারা সুন্দরবনে যান। সিগনাল চলার এক পর্যায়ে ঝড়ের কবলে পড়ে বৃহস্পতিবার তারা পথ হারিয়ে ভারতীয় অংশে ঢুকে পড়েন। এ সময় ভারতীয় সুন্দরবনের বনপ্রহরীসহ বিএসএফ সদস্যরা তাদের ধাওয়া করলে মধু সংগ্রহের সরঞ্জাম ফেলে জীবন নিয়ে তারা নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়েন। ছোট বড় দুইটি নদী সাঁতরে হলদেবুনিয়া অংশে পৌঁছানোর পর বাংলাদেশের বনরক্ষীরা তাদের উদ্ধার করে বুড়িগোয়ালীনি স্টেশনে নিয়ে আটক দেখিয়েছেন।

এসব জেলেদের দাবি, মহাজনের কাছে থেকে চড়া সুদে ঋণ নিয়ে মধু কাটতে সুন্দরবনে গিয়েছিলেন তারা। এখন সর্বস্ব হারিয়ে জেলের ঘানি টানার পর মহাজনের টাকা ফেরত দেওয়া নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় পড়েছেন তারা। মৌসুমের শুরুতে এমন বিপদে পড়ার কারণে সারা বছর ধরে সাংসারিক ব্যয় নিয়েও তারা অনেক চিন্তায় আছেন।

সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক ইকবাল হোসাইন চৌধুরী জানান, অভয়ারণ্য এলাকায় গিয়ে মাছ শিকারের সময় হলদেবুনিয়া স্টেশন ইনচার্জ মাহাবুবুর রহমানের নেতৃত্বে ২৫ জনকে আটক করা হয়। অনুমতিপত্র না থাকার পরও তারা সুন্দরবনে প্রবেশ করার পাশাপাশি নিষিদ্ধ অভয়ারণ্যে যান। এ কারণে তাদের বিরুদ্ধে বন আইনে মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৭, ২০২৩
এফআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।