ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

পু‌লিশ কনস্টেবলকে মারধরের ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার ৩

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ৯, ২০২৩
পু‌লিশ কনস্টেবলকে মারধরের ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার ৩

বরিশাল: বরিশালের আগৈলঝাড়া থানার এক পুলিশ কনস্টেবলকে মারধর করার ঘটনায় ১১ জনের নামে মামলা হয়েছে। এর মধ্যে আগৈলঝাড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকসহ ৮ জন নামধারী এবং অজ্ঞাতনামা আরও ২/৩ জনকে আসামি করা হয়েছে।

গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৩ জনকে।

রোববার (৯ এপ্রিল) সকালে মামলা ও গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আগৈলঝাড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাজাহারুল ইসলাম।  

তিনি জানান, আহত পুলিশ কনস্টেবল ভূদেব বিশ্বাস বাদী হয়ে শনিবার (৮ এপ্রিল) রাতে আগৈলঝাড়া থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় সরকারি কাজে বাধা ও মারধরের অভিযোগের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

পাশাপাশি এ মামলার এজাহারভুক্ত আসামি উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন পাইক ও তার দুই সহযোগী এবং স্বজন জিয়াউর রহমান ওরফে জিয়া ফরিয়া ও জহিরুল ইসলাম পাইককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

মামলার বাকী আসামিরা হলেন- মনির হোসেন পাইক, শহিদ পাইক, সান্টু ফকির, রুহুল ফরিয়া ও আবু বকর পাইক।

এর আগে শনিবার (৮ এপ্রিল) সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে আগৈলঝাড়া বাজারের কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে পুলিশ সদস্যের ওপর ওই হামলার ঘটনা ঘটে।

আহত পুলিশ কনস্টেবল ও মামলার বাদী ভূদেব বিশ্বাস বলেন, শনিবার (৮ এপ্রিল) ডিউটি কার্যক্রম পরিচালনাকালে ইফতারের আগ মুহূর্তে মোটরসাই‌কেল‌যো‌গে থানার দিকে ফিরছিলাম। ফেরার পথে আগৈলঝাড়া বাজারের কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে জাকির পাইকসহ মামলার আসামিরা সড়ক আটকে গল্প করায় আমি মোটরসাইকেলের হর্ণ দেই। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে জাকির পাইক আকস্মিক কিলঘুষি মেরে আমাকে রক্তাক্ত জখম করে। তখন আমি আগৈলঝাড়া থানার পুলিশ সদস্য হিসেবে নিজের পরিচয় দিলে জাকির পাইকসহ মামলার এজাহারভুক্ত আসামিরা একজোট হয়ে আমাকে মারধর শুরু করে। ওইসময় স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধারে এগিয়ে আসতে চাইলে হামলাকারীরা খুন-জখমের হুমকি দিয়ে চলে যায়। পরে খবর পেয়ে থানা পুলিশের অন্য সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে আমাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়।

আগৈলঝাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের ডা. নাজমুল বলেন, শনিবার (৮ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৭টা ৪৫ মিনিটে এসেছিলেন। তার ফিজিক্যাল অ্যাসাল্ট ছিল। প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন।

ঘটনার সঙ্গে জড়িত ও মামলার বাকী আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন আগৈলঝাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম ছরোয়ার। তিনি বলেন, কনস্টেবল ভূদেব বিশ্বাস ডিউটি শেষে থানায় ফিরছিলেন। থানা থেকে কিছু দূরে পুলিশ সদস্য ভূদেব বিশ্বাসকে মারধর করা হয়। পুলিশ পরিচয় দেওয়ার পরেও তাকে মারধর করেছে হামলাকারীরা।

এদিকে, শনিবার (৮ এপ্রিল) রাতে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন পাইকসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তারের পরই উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুর রইচ সেরনিয়াবাতসহ উপজেলা ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা থানায় জড়ো হন। বিষয়টিকে ভুল বোঝাবুঝি বলছেন তারা।

জাকির পাইকের স্ত্রী মুসলিমা বেগম ও ভাবী শাহিনা বেগম দাবি করেছেন, শনিবার (৮ এপ্রিল) সন্ধ্যা রাতে থানার একদল পুলিশ বাড়িতে এসে পুরো ঘর তছনছ করেছে।

তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে ওসি গোলাম সরোয়ার বলেন, মামলা থেকে রেহাই পেতে অভিযুক্তদের পরিবারের সদস্যরা মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১২৫৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ৯, ২০২৩
এমএস/এনএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।