ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২১ কার্তিক ১৪৩১, ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

‘খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণতার ইতিহাসে মতিয়ার নাম লেখা থাকবে’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০২৩
‘খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণতার ইতিহাসে মতিয়ার নাম লেখা থাকবে’

ঢাকা: দেশে খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণতার ইতিহাস লেখা হলে কোনা দিয়ে হলেও মতিয়া চৌধুরীর নাম একটু লেখা থাকবে বলে জানিয়েছেন সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরী।

সোমবার (১০ এপ্রিল) জাতীয় সংসদ সংসদের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ১৪৭ বিধিতে উত্থাপন করা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে এ কথা বলেন তিনি।



সাবেক কৃষিমন্ত্রী বলেন, উনি (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) দায়িত্ব (কৃষিমন্ত্রী) দিয়েছেন, এ দেশে খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণতার ইতিহাস লেখা হয় তাহলে কোনা দিয়ে হলেও এই মতিয়া চৌধুরীর নাম একটু হলেও লেখা থাকবে। এই সুযোগ শেখ হাসিনা ছাড়া আর কেউ দেয়নি। আওয়ামী লীগের কৃষি সম্পাদক হিসেবে উনি আমাকে যে মর্যাদা দিয়েছিলেন, সরকার গঠন হলে কৃষির জন্য যে সুবিধা আমি জনগণের জন্য বিলিয়ে দিয়েছি।
মতিয়া চৌধুরী তার আওয়ামী লীগে যোগ ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, ১৯৭৯ সালে যখন আওয়ামী লীগের অফিসে টেলিফোন লাইন, বিদ্যুৎ ছিল না তখন আমি আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছি। রাজনৈতিক সহকর্মীরা বিবৃতি দিয়েছিল, তারা বলেছিল ক্ষমতার লোভে মতিয়া চৌধুরী আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছে। কোথায় ক্ষমতা? কোথায় আওয়ামী লীগ? কার্যালয়ে টেলিফোন কানেকশন নেই! সাজেদা আপা আসতেন, ফোন করার দরকার হলে নিচে দোকানে গিয়ে কল করতে হতো। আর বিদ্যুৎ ছিল না বলে উনি পাঁচ টাকা দিতেন, আমাদের পিয়ন গিয়ে চারটা হারিকেন ভরে তেল নিয়ে আসতেন। খুচরা পয়সা দিলে সাজেদা আপা বলতো তুই চা খাইস। সেদিন আমার বিরুদ্ধে এ বিবৃতি দিয়ে কামান দাগা হলো। যখন যোগদান করি তখন আওয়ামী লীগের অত্যন্ত.. বলতে গেলে নম্বার ওয়ান নেতা এসে বললেন চৌধুরী এই পার্টিতে জয়েন কইরেন না। এই পার্টি আপনি করতে পারবেন না। আমি তাকে ভাই বলে সম্বোধন করে বললাম, আপনি চিন্তা কইরেন না আমি আওয়ামী লীগ অফিস ঝাড়ু দেব। কোনোদিন পদ-পদবী চাইবো না।

অভিযোগ করে মতিয়া চৌধুরী বলেন, যদি সত্যিকারের নেতা হইতেন আমার এই কথারে ধরে রাইখা..যখন ৮১ সালে সম্মেলন হলো, আমি ৭৯ সালে যোগদান করেছিলাম। আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী দুই বছর পার হয়ে গেছে শেখ হাসিনার অবর্তমানে যখন কমিটি হলো আমাকে কেন্দ্রীয় কমিটির একটা সদস্য পর্যন্ত রাখা হয়নি। ৮৬ সালে যখন সম্মেলন হলো, তখন আমি শেখ হাসিনার হাত ধরে কৃষি সম্পাদক হই। উনি কৃষি সম্পাদক হিসেবে যে মর্যাদা দিয়েছিলেন, সরকার গঠন হলো কৃষির জন্য যে সুবিধা আমি জনগণের জন্য বিলিয়ে দিয়েছি।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে প্রথম সাক্ষাতের কথা উল্লেখ করে মতিয়া চৌধুরী বলেন, ৬ দফা দেওয়ার পরে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে আমার প্রথম দেখা হয় জেলখানায়। আমি মনে করি, বিধাতার ইচ্ছা, জেলখানায় অনেকেই গেছেন, কলমও নিতে দেয় না। সবকিছু জেলগেটে জমা দিতে হয়। আমি সবকিছু জমা দিচ্ছি, জেলার লিখছে। এই সময় পেছন থেকে একটা আশ্বস্তের হাত। আমি চমকে পেছনে ফিরে তাকাতে দেখলাম বঙ্গবন্ধু। সেদিন তার দেখা ছিল, সেই হাত দিয়ে উনি একটা কথাই বললেন মতিয়া ভয় পাইয়ো না। বঙ্গবন্ধু আজকে আসমানের কোনো স্তরে আছেন আমি জানি না। তার উদ্দেশ্যে শুধু বলতে চাই, আমি ভয় পাইনি। ভয় পাবো না। চিত্ত যেতা ভয় শূন্য, উচ্চ যেতা শির। যেটা আপনি বলতেন। মাথা উঁচু করে যাতে মরতে পারি এই দোয়াটুকু করবেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০২৩
এসকে/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ