দিনাজপুর: দিনাজপুরে ট্রান্সফরমার ও সেচপাম্প চুরির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (১২ এপ্রিল) বিকেলে দিনাজপুর প্রেসক্লাবে এ সম্মেলনের আয়োজন করেন জেলার বিরামপুর উপজেলার বিরামপুর অগভীর নলকুপ সমবায় সমিতি।
সংবাদ সমেম্মলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ওই সমবায় সমিতির সভাপতি শাহনেওয়াজ ফিরোজ শুভ।
এ সময় ভুক্তভোগী সাখাওয়াত হোসেন, আবু তাহের, শাজাহান ফেরদৌস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে সভাপতি শাহনেওয়াজ ফিরোজ শুভ বলেন, চলতি বোরো মৌসুমে বিরামপুরে বেশ কয়েকটি ট্রান্সফরমার ও সেচপাম্প চুরি এবং ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) দিনগত রাত ১২টার দিকে মো. শাহনেওয়াজ ফিরোজ শুভর নৈশ প্রহরীকে বেঁধে রেখে ট্রান্সফরমার ডাকাতি করে নিয়ে গেছে।
এর আগে, চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি রাতে শাহনেওয়াজ ফিরোজের জমিতে সেচের কাজে ব্যবহৃত একটি ১০ কে.বি ট্রান্সফরামার চুরি হয়। পরের দিন তিনি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। গত ১৩ মার্চ রাত ১টার দিকে বিরামপুরের পলিপ্রয়াগপুর ইউনিয়নের উত্তর ভগবতীপুর এলাকার কৃষক হযরত আলীকে বেঁধে রেখে একটি ট্রান্সফরামর নিয়ে যাওয়া হয়। এ ঘটনায় তিনিও বিরামপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু তারপরও আরও কয়েকটি ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনা ঘটে।
সম্প্রতি বিরামপুর উপজেলার খয়ারপাড়ার এলাকার কৃষক আবু তাহেরকে বেঁধে রেখে তার ট্রান্সফরমারটিও নিয়ে যাওয়া হয়। একই এলাকার তহিদুল ইসলাম বাবুর একটি ট্রান্সফরমার ও মজিবর রহমান ভুট্টুর একটি সেচপাম্প রাতের আঁধারে চুরি হয়ে যায়। থানায় অভিযোগ দেওয়ার পরও কোনোভাবেই ট্রান্সফরমার-সেচপাম্প চুরি ও ডাকাতির ঘটনা থামছে না। এ অবস্থায় কৃষকেরা শঙ্কায় আছেন ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
তিনি আরও বলেন, একটি ট্রান্সফরমার কিনতে ৬০-৭০ হাজার টাকা লাগে। আবার সেচপাম্প কিনতেও ২০-৩০ হাজার টাকা লাগে। নতুন করে আবার এসব কিনতে অতিরিক্ত টাকা খরচ হচ্ছে। কিন্তু তারপরও যদি নিশ্চয়তা থাকতো যে আর ট্রান্সফরমার বা সেচপাম্প চুরি হবে না তাহলে কষ্ট করে হলেও কেনা যেত। একের পর এক ট্রান্সফরমার ও সেচপাম্প চুরি ও ডাকাতির মতো ঘটনায় উপজেলার কৃষকেরা আতঙ্কে রয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে বোরো মৌসুমের সেচ ব্যবস্থা হুমকিতে পড়বে।
এ সময় ট্রান্সফরমার-সেচপাম্প চুরি বা ডাকাতির সঙ্গে যারা জড়িত তাদের দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আনার দাবি জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০২৩
এসআরএস