ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২২ কার্তিক ১৪৩১, ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

মাকে মারধরের অভিযোগে ছেলে গ্রেপ্তার 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৪৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০২৩
মাকে মারধরের অভিযোগে ছেলে গ্রেপ্তার  গ্রেপ্তার আরিফুজ্জামান মিটু

ফরিদপুর: ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলায় বৃদ্ধা মাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে পাষণ্ড ছেলে আরিফুজ্জামান মিটুর (৫০) বিরুদ্ধে। বর্তমানে ওই মা আলফাডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।

তার নাম মৌলুদা মোবারক (৬৫)। তিনি উপজেলার বুড়াইচ ইউনিয়নের বিলমান্দলা এলাকার মৃত মোবারক হোসেন মাস্টারের স্ত্রী।

বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) রাতে এ ঘটনায় আলফাডাঙ্গা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী মা মৌলুদা মোবারক।  

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, স্বামী মারা যাওয়ার পর রেখে যাওয়া সম্পত্তি তাদের তিন মেয়ে, চার ছেলেসহ তিনি ওয়ারিশ সূত্রে মালিক। কিন্তু তাদের বড় ছেলে আরিফুজ্জামান মিটু তার বাবার রেখে যাওয়া সম্পত্তি অন্য ভাই-বোনকে না দিয়ে নিজের করে নিতে প্রায়ই তার মাকে অত্যাচার-নির্যাতন করেন। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার সকালে মিটু তাদের এজমালি জমি চাষ করার প্রস্তুতি নেয়। এতে তার মা আপত্তি জানালে পাষণ্ড ছেলে রাস্তার ওপর ফেলে চড়-থাপ্পড় দিয়ে অশালীন ভাষায় গালমন্দ করে এলোপাতাড়ি কিলঘুষি মেরে গলা চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।  

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বৃদ্ধা মা মৌলুদা মোবারক জানান, আমার বড় ছেলে মিটু অতীতেও জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে কয়েকবার আমাকে ও আমার অন্য ছেলেকে মারধর করে। সে কারণে-অকারণে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রায়ই আমাদের ওপর অত্যাচার নির্যাতন চালায়। এ নিয়ে আলফাডাঙ্গা থানা ও ফরিদপুর আদালতে তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়েছিল। পরবর্তীকালে মানবিক কারণে সেই সব মামলা মীমাংসা করেছি।

এদিকে, নির্যাতিত ওই বৃদ্ধা মায়ের অভিযোগ পেয়ে বৃহস্পতিবার রাতেই আলফাডাঙ্গা থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. ফরহাদ শেখ সঙ্গীয় ফোর্স অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত মিটুকে গ্রেপ্তার করে। পরে শুক্রবার সকালে মিটুকে ফৌজদারি কার্যবিধি আইনের ১৫১ ধারায় আদালতে পাঠানো হয়েছে।  

এ বিষয়ে আলফাডাঙ্গা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবু তাহের বলেন, অভিযুক্ত ব্যক্তি কোনো অপরাধের সঙ্গে জড়িত আছে কিনা সে বিষয়ে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এই মুহূর্তে জামিনে মুক্তি পেলে মিটু তার মাকে আবারও মারধরসহ খুন জখমের সম্ভবনা রয়েছে এবং আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটতে পারে। তাই তদন্তকার্য সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত তাকে জেল হাজতে আটক রাখা একান্ত প্রয়োজন। এই জন্য তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ০০৪২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০২৩
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।