গাজীপুর: গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাময়িক বরখাস্ত মেয়র জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, জনগণ চাইলে তিনি নির্বাচন করবেন।
শনিবার (১৫ এপ্রিল) দলীয় মনোনয়ন ঘোষণার পর তিনি এ কথা বলেন।
জাহাঙ্গীর বলেন, যেহেতু রাজনীতি করি, তাই জনগণ যা চায় তাই করবো। এলাকার নাগরিক ও ভোটারা যদি চায়, তবে আমি তাদের নিরাশ করবো না। তারা চাইলে আমি মেয়র পদে নির্বাচন করবো।
শনিবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে ৫টি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলের মেয়র প্রার্থী ঘোষণা করেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এ সিটি করপোরেশনগুলো হলো- গাজীপুর, খুলনা, সিলেট, রাজশাহী ও বরিশাল। আসন্ন গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লা খান। দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে হতাশ জাহাঙ্গীর আলম।
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ৫৭টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার ১১ লাখ ৮৪ হাজার ৩৬৩ জন। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ২৭ এপ্রিল। মনোনয়নপত্র বাছাই ৩০ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ৮ মে, ৯ মে প্রতীক বরাদ্দ, ২৫ মে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
প্রথমবার গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পেয়ে মেয়র পদে নির্বাচন করেন আজমত উল্লা খান। ওই সময় তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বিএনপির মনোনীত মেয়র প্রার্থী অধ্যাপক এম এ মান্নানের কাছে বিপুল ভোটে পরাজিত হন আজমত উল্লাহ খান। গাজীপুর সিটি করপোরেশনের প্রথম মেয়র নির্বাচিত হন অধ্যাপক এম এ মান্নান। পরে বিভিন্ন মামলা ও অভিযোগের কারণে সাময়িক বরখাস্ত করা হয় তাকে। এরপর ভারপ্রাপ্ত মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন আসাদুর রহমান কিরণ। এ সিটি করপোরেশনের দ্বিতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে মেয়র পদে নির্বাচন করেন জাহাঙ্গীর আলম। বিএনপির মেয়র প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকারকে বিপুল ভোটে পরাজিত করে মেয়র পদে বিজয়ী হন জাহাঙ্গীর আলম। তিনিও নানা অভিযোগ ও মামলার কারণে মেয়র পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত হন। এরপর আবার ভারপ্রাপ্ত মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন আসাদুর রহমান কিরণ। গত দুই নির্বাচনে জনগণের ভোটে নির্বাচিত প্রার্থীরা পুরোপুরি দায়িত্ব পালন করতে পারেননি। তৃতীয় নির্বাচনে কী হবে এসব বিষয় নিয়ে নগরের চলছে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়।
বাংলাদেশ সময়: ০০৫১ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০২৩
আরএস/আরবি