ঢাকা: ‘এই জীবনে সূর্যের এত তেজ আর দেখি নাই। রিকশা চালানোর সময় মনে হয়, শুধু গরম না, এই সূর্যের তেজে চামড়া ফেটে শরীর থেকে গরম পানি ঝরতে থাকে।
কথাগুলো বলছিলেন রিকশাচালক আব্দুল মতিন। রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল টাওয়ারের বিপরীতে ফুটপাতের পাশে রিকশা থামিয়ে বিশ্রাম নেওয়ার সময় কথা হয় তার সঙ্গে।
মতিনের মতো আরও অনেক চালকই এখানে রিকশা থামিয়ে প্রশান্তির ঘুম দেওয়ার দিতে চেষ্টা করেন। শরীরে বাতাস লাগানোর জন্য অনেকেই শার্ট খুলে বিশ্রাম নেন।
মতিন বলেন, ‘কামরাঙ্গীরচরে টিনশেড রিক্সার গ্যারেজে যেখানে থাকি, সেখানে মনে হয় চুলা জ্বলছে। গরমে সেদ্ধ হয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা। এই জীবনে সূর্যের এত তেজ আগে কখনো দেখি নাই। গরমের কারণে কোথাও যাওয়া যাচ্ছে না।
তিনি বলেন, যেখানে যাই, সেখানেই গরম। কী আর করা পেটে তো দানাপানি দিতে হবে। তাই রিকশা নিয়ে বেরিয়েছি। কিন্তু একজন যাত্রী নিয়ে গন্তব্যে যাওয়ার পথে মনে হয় সেদ্ধ হয়ে গেছি। চামড়া ফেটে গরম পানি ঝরতে থাকে।
এপ্রিলে তাপপ্রবাহ স্বাভাবিক ঘটনা হলেও এবারের তাপমাত্রা বেড়েছে ক্রমান্বয়ে। রোদের প্রখরতাও অন্যান্য বছরের তুলনায় বেশি। ইতোমধ্যে দুটি রেকর্ড ভেঙেছে তাপমাত্রা।
ঢাকায় ৫৮ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড হলো শনিবার। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, তিন কারণে এবারের তাপপ্রবাহের মাত্রা অন্যান্য বছরের চেয়ে বেশি। সেগুলো হলো- জলীয় বাষ্প অস্বাভাবিক থাকা, দক্ষিণ-পূর্ব মৌসুমি বায়ু কম আসা এবং সাগরে কোনো ঘূর্ণিঝড়ের প্রক্রিয়া তৈরি না হওয়া।
বাংলাদেশ সময়:১২৪৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০২৩
এজেডএস/আরএইচ