কক্সবাজার: কক্সবাজারে চলছে চার দিনব্যাপী রাখাইন সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় সামাজিক উৎসব ঐতিহ্যবাহী জলকেলি বা সাংগ্রে পোয়ে।
জেলার কক্সবাজার সদর, চকরিয়া, মহেশখালী, রামু, টেকনাফ উপজেলার অন্তত ৫০ এলাকায় এ উৎসব চলছে।
মূলত বুধবার (১৯ এপ্রিল) বেশিরভাগ স্থানে জলকেলি উৎসবের সমাপ্তি হলেও সদরের চৌফলদন্ডী দক্ষিণ রাখাইন পাড়ায় ঐতিহ্যবাহী এ উৎসব শেষ হবে বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল)।
রাখাইন সম্প্রদায় প্রতিবছর রাখাইন বা মগিসনকে বিদায় ও বরণ করে নিতে এ উৎসবের আয়োজন করে।
মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) বিকেলে শহরের উঃকুশল্যা বৌদ্ধ বিহার প্রাঙ্গণে দেখা যায়, উৎসবকে ঘিরে হাজারো প্রাণের স্পন্দন। মঞ্চে গান চলছে। আর মঞ্চের বাইরে চলছে হরেক রকম নাচ। দলে দলে সব বয়সীরা যেন আনন্দে উদ্ভাসিত। আর এক পাশে চলছে জলকেলি। একে অপরকে ছুঁড়ে মারছে মঙ্গলজল। যে জলে ধুয়ে মুছে যাবে পুরনো বছরের সব গ্লানি। দল বেঁধে বেঁধে নাচতে নাচতে একেকটি দল প্যান্ডেলে আসছে। এসেই আনন্দে মেতে উঠেছেন।
স্কুলছাত্র উথেনমিং বলে, সারা বছর দিন গুনি কখন এ উৎসব আসবে। কখন সবাই মিলে মজা করবো। জেলিতে আমরা শিশু, কিশোর, যুবক, বৃদ্ধা সবাই এক সঙ্গে মজা করি।
টেকপাড়ার ক্যংগ্রি রাখাইন বলেন, সাংগ্রে পোয়ে বা জলকেলি রাখাইনদের সবচেয়ে বড় সামাজিক উৎসব। এ উৎসবে সবাই মিলেমিশে একাকার হয়ে আনন্দে মেতে উঠে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শুধুমাত্র কক্সবাজার শহরের বৌদ্ধ মন্দির সড়ক, পেশকার পাড়া, টেকপাড়া হাঙরপাড়া, বড়বাজার, চাউলবাজারে অন্তত ১৮ থেকে ২০টি প্যান্ডেলে এবার জলকেলি উৎসব চলছে। যেসব প্যান্ডেলে রাখাইনদের পাশাপাশি অন্যান্য সম্প্রদায়ের লোকজনও উৎসবে সামিল হয়েছে।
কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের পরিচালক মংছেন হলা রাখাইন বলেন, পঞ্জিকা অনুযায়ী ১৬ এপ্রিল রাত ১২টায় ১৩৮৪ রাখাইন অব্দ (মগীসন) শেষ হয়েছে। ১৩৮৫ অব্দ শুরু হয়েছে ১৭ এপ্রিল মধ্যরাত থেকে। যুগযুগ ধরে রাখাইন নববর্ষকে বিদায় ও বরণ করতে সাংগ্রেপোয়ে বা জলকেলি উৎসবের আয়োজন করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০২৩
এসবি/আরআইএস