পিরোজপুর: মধ্যপ্রাচ্যের ওমানে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন পিরোজপুরের রাকিবুল হাসান (৩০)। একই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান আরেক প্রবাসী বাংলাদেশি কুমিল্লার সাইফুল ইসলাম।
দুর্ঘটনার দুই সপ্তাহের পর কফিন বাড়িতে এলে মা-বাবা ও স্বজনরা ভিড় জমান ছেলেকে শেষবারের মতো দেখতে। কিন্তু কফিন খুলে হতভম্ব। ছেলে রাকিবের জায়গায় এসেছে অন্য কারও মরদেহ!
পরে জানা যায়, আর সে মরদেহটি একই দুর্ঘটনায় নিহত কুমিল্লার সাইফুলের।
বুধবার (১৯ এপ্রিল) সকালে পিরোজপুর সদর উপজেলার শংকরপাশা ইউনিয়নের চালনা নামাজপুর গ্রামের আ. মালেক শেখের বাড়িতে শোকের মাতামের মধ্যে হতবিহ্বল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
এ ঘটনায় ওই এলাকায় তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
রাকিবের পরিবারের অভিযোগ, বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের অবহেলা ও কফিনের গায়ে নাম ভুল লেখার কারণে এ কাণ্ড ঘটেছে।
জানা যায়, চালনা নামাজপুর গ্রামের আ. মালেক শেখের ছেলে রাকিবুল হাসান (৩০) এবং কুমিল্লার সাইফুল ইসলাম গত ৬ এপ্রিল ওমান শহরে এক মর্মান্তিক ট্রাক দুর্ঘটনায় নিহত হন।
বুধবার (১৯ এপ্রিল) সকালে একই সময় বিমান যোগে দুজনের লাশই দেশে আসে। পরে শাহজালাল বিমানবন্দরে আত্মীয়-স্বজনদের কাছে মৃতদেহ হস্তান্তরের সময় রাকিবের লাশ সাইফুলের পরিবারের এবং সাইফুলের লাশ রাকিবের পরিবারের কাছে চলে আসে।
পিরোজপুর সদর থানার ওসি আ.জ.ম মাসুদুজ্জামান বলেন, ঘটনা শোনার পরই পুলিশ পাঠিয়ে সাইফুলের মরদেহ বহনকারী গাড়ি কুমিল্লায় পাঠান হয়। এবং তাৎক্ষণিক কুমিল্লার সাইফুলের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। এবং দ্রুত রাকিবের মরদেহ বহনকারী ফ্রিজিং গাড়ি পিরোজপুরে পাঠানোর জন্য বলা হয়।
জানা গেছে, বুধবার বিকেল ৫টায় রাকিবের মরদেহ পিরোজপুরে পৌঁছায়। ছেলেকে শেষবারের মতো দেখেন বাবা-মা ও স্বজনেরা। আসর নামাজের পর জানাজা দেওয়া শেষে লাশ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, প্রায় এক বছর আগে রাকিবুল হাসান চাকরির আশায় ওমানে পাড়ি জমায়। নিহত রাকিবের ছয় মাসের যমজ শিশুসহ তিন মেয়ে রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০২৩
এসএএইচ