ঢাকা: ঈদের দিন সকাল ১০টার পর থেকে দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে অন্যতম দর্শনীয় স্থান জাতীয় চিড়িয়াখানা। বাঘ, সিংহ, হরিণ কিংবা ময়ূর দেখতে দর্শনার্থীরা ভিড় জমিয়েছেন মিরপুরের এ বিনোদনকেন্দ্রে।
বেলা ১১টার পর থেকে চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থীদের ভিড় বাড়তে থাকে। শিশু থেকে বয়োবৃদ্ধ সব বয়সী মানুষের আগমনে মুখরিত হয়ে উঠে চিড়িয়াখানা।
চিড়িয়াখানায় আসা কয়েকজন দর্শনার্থী জানান, তাদের অনুভূতিটা ভিন্ন। সন্তানদের বন্যপ্রাণী দেখাতে পেরে তারা খুব খুশি। ভেতরে প্রবেশের পর তারা বিভিন্ন পশু দেখছেন। বড়রা তাদের শিশু সন্তানদের বিভিন্ন পশুপাখির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন।
চিড়িয়াখানার পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম তালুকদার বাংলানিউজকে বলেন, শুক্র ও শনিবার বন্ধের দিন ২০ থেকে ৩০ হাজার দর্শনার্থী প্রবেশ করে থাকে। আজ ঈদের দিন সেই হিসেবে ৮০ থেকে ৯০ হাজার দর্শনার্থী প্রবেশ করবে বলে ধারণা করছি। ডিজিসহ আমরা সবাই ডিউটিরত অবস্থায় আছি। বিশেষ কারণ ছাড়া কাউকে ছুটি দেওয়া হয়নি। কাল ও পরশু দর্শনার্থীর চাপ আরও বেশি হবে।
মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের বাড়ি খুলনার বাগেরহাট। পরিবার নিয়ে ঘুরতে এসেছেন জাতীয় চিড়িয়াখানায়। তিনি বলেন, খুব ছোটবেলায় একবার এসেছিলাম। আর এখন পরিবার নিয়ে আসছি। ঘুরে দেখে খুব ভালো লাগছে। তবে চিড়িয়াখানার এরিয়া অনেক বড় হওয়ায় সবটুকু ঘুরে দেখা সম্ভব হচ্ছে না। কারণ বাচ্চাদের কষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তাই যতটুকু সম্ভব ঘুরে দেখলাম। আগের থেকে পরিবেশ অনেক ভালো।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০২৩
জিএমএম/আরবি