নীলফামারী: ঈদের দিন থেকে নীলফামারীর সৈয়দপুরের দুটি পার্কে দর্শনার্থীদের ভিড় বেড়েছে। বড়দের সঙ্গে ছোট্ট শিশুরাও আসছেন বাবা-মা কিংবা অভিভাবকের সঙ্গে।
ছোট্ট পরিসরে এসব পার্ক নির্মিত হলেও দর্শনার্থীদের বিনোদনের খোরাক কিছুটা মেটাচ্ছে। কিছুটা অবস্থাপন্ন লোকেরা ছুটছেন একটু দূরবর্তী ভিন্নজগত ও স্বপ্নপুরীতে।
উত্তর জনপদের ভ্রমণপিপাসু মানুষের জন্য তৈরি করা হয়েছে ‘পাতাকুঁড়ি’ নামে একটি বিনোদনকেন্দ্র। আর এটি হচ্ছে নীলফামারীর বাণিজ্যিক শহর সৈয়দপুর উপজেলার কয়াগোলাহাটে। প্রায় ১৩ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত এ বিনোদনকেন্দ্রের কাজ পুরোদমে চলছে। শহরের যান্ত্রিকতায় এখানকার মানুষের বিনোদনের খুব একটা ব্যবস্থা নেই। ফলে লোকজন রংপুরের পীরগঞ্জের আনন্দনগর, ভিন্নজগত, দিনাজপুরের রামসাগর, কান্তজিউ মন্দির, স্বপ্নপুরী ও সিঙ্গারা ফরেস্টে আনন্দ ভ্রমণে যান। এতে করে সময় ও অর্থ দুটোই ব্যয় হয়।
এই চিন্তা থেকে শহরের অদূরে প্রায় ১৩ একর জায়গায় গড়ে তোলা হয়েছে ‘পাতাকুঁড়ি’ নামে একটি বিনোদনকেন্দ্র। এখানে ইতোমধ্যে সেখানে বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ করে জিরাফ, হাতি, হরিণ, সিংহসহ কৃত্রিম জিনিসপত্র তৈরি করা হয়েছে। লাগানো হয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির গাছগাছালি।
সেখানে সৃষ্টি করা হয়েছে নিরিবিলি ও মনোরম পরিবেশ। শিশুদের জন্য ছোট্ট পরিসরে বসানো হয়েছে চড়কি, দোলনাসহ নানা খেলার জিনিস। এর মূল উদ্যোক্তা শহরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও ঠিকাদার জয়নাল আবেদীন।
তিনি জানান, এই বিনোদনকেন্দ্রটি আগামীতে এটি আকর্ষণীয় বিনোদনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ চলছে। সেইসঙ্গে জমির পরিধিও বাড়ানো হবে।
সৈয়দপুর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে সৈয়দপুর-দিনাজপুর বাইপাস সড়কের পাশে বিনোদন কেন্দ্রে প্রতিদিনই দর্শনার্থীদের সংখ্যা বাড়ছে। বিকেল হলে শিশু-কিশোর ও নারী-পুরুষের ভিড়ে এরই মধ্যে জমজমাট হয়ে উঠেছে বিনোদনকেন্দ্রটি। এখানে প্রবেশ মূল্য ২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
থিম পার্কটি শহরের ভেতরে ইসলামবাগ এলাকায় গড়ে উঠলেও এটি বন্ধ হয়ে গেছে নানা কারণে।
রংধনু পার্কটি সৈয়দপুর শহর থেকে দিনাজপুর যাওয়ার পথে নর্দান কোল্ড স্টোরের পাশে চারিদিকে নদীবেষ্টিত অনেকটা দ্বীপের মতো জায়গায় অবস্থিত। এই পার্কে শিশুদের বেশ কিছু রাইড, সুইমিং পুল ও বসার বেঞ্চ স্থাপন করা হয়েছে। ঈদের দিন থেকে পার্কে উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। প্রধান সড়ক থেকে সেতু বেয়ে পার্কে যাওয়ার বিষয়টি বেশ উপভোগ্য।
রংধনু পার্কটি এখনো নির্মাণাধীন রয়েছে। ধীরে ধীরে এর পরিধি বাড়ানোসহ চিত্ত বিনোদনের জন্য সব ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানান পার্ক কর্তৃপক্ষ। ইতোমধ্যে ছোট এলাকা জুড়ে বানানো হয়েছে ঝুলন্ত সেতু। আছে সুইমিং পুল, দোলনা, ছোট বাচ্চাদের জন্য ট্রেন ভ্রমণ। এছাড়া পার্কজুড়ে বানানো হয়েছে বিভিন্ন পশুপাখির স্থির সব চিত্র।
পার্কে আসা পাশের চিরিরবন্দর এলাকার দম্পতি রাজা ও রাহেনা। সঙ্গে রয়েছে চার বছরের সন্তান রনি। তারা জানান, আশপাশে যেহেতু ঘুরে বেড়ানোর জায়গা ও পরিবেশ নেই। তাই এই পার্কে ঘুরতে এসেছি। পরিবেশ খুবই ভালো। বাচ্চাদের রাইড কম, তবুও ভালো লেগেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০২৩
আরএ