নোয়াখালী: নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় পারিবারিক বিরোধের জেরে ভাগিনার লোহার রডের আঘাতে ফুফা মো. হোসেন (৬৬) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্তকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয় এলাকাবাসী।
রোববার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে আসামিদের গ্রেফতার দেখিয়ে নোয়াখালী চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়।
এর আগে শনিবার (২২ এপ্রিল) দিবাগত রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের আব্দুল খালেক মিয়ার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মো. হোসেন উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের আব্দুল খালেক মিয়ার বাড়ির বাসিন্দা।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের আব্দুল খালেক মিয়ার বাড়ির জাহিদ হাসান (১৯), আহসান উল্যাহ সাজু (২৬), আনোয়ার হোসেন (৬৫), মেহেদী হাসান (২১) ও উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মুন্সি সওদাগর বাড়ির মো. ইসমাইল (৩৩)।
নিহতের ছেলে মোতাহের হোসেন জানান, তারা নানার বাড়িতে স্থায়ীভাবে বসবাস করেন। নানার বাড়ির কয়েকজনের সাথে পারিবারিক বিরোধ ছিল। এ ঘটনা নিয়ে বাড়ির উঠানে শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে দুই পরিবারের সদস্যদের মধ্যে বাক-বিতণ্ডা দেখা দেয়। এর এক পর্যায়ে আমার বাবা মো. হোসেন বিষয়টি মীমাংসার জন্য ঘটনাস্থলে গেলে তার ভাগিনা জাহিদ হোসেন হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে তাকে মাথায় আঘাত করলে কপালের মাঝের বাম পার্শ্বে পড়ে গুরুতর জখম হয়। আরেক ভাগিনা আহসান উল্যাহ সাজু পেছন থেকে বাবার পিঠে সজোরে লাথি মারে। এতে তিনি ঘটনাস্থলে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। পরে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক এসে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
স্থানীয় লোকজন তার মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে আসামিদের তাদের ঘরে আটকে রেখে পুলিশ এবং স্থানীয় চেয়ারম্যানকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ উত্তেজিত জনতার কবল থেকে আসামিদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) মো. সাদেকুর রহমান জানান, এ ঘটনায় নিহতের ছেলে মোতাহের হোসেন বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। ওই মামলায় ৫ আসামিকে গ্রেফতার দেখিয়ে নোয়াখালী চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়।
অপরদিকে রোববার সকালে ভিকটিমের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪১ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০২৩
এএটি