মাদারীপুর: পবিত্র ঈদুল ফিতরের জন্য পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচলে অনুমতি দিয়েছে সরকার। ঈদের দিন পর্যন্ত সেতু ব্যবহার করে দুই চাকার এ বাহনের বাহকরা নিজ নিজ গন্তব্যে গেছেন।
সোমবার (২৪ এপ্রিল) সরেজমিনে পদ্মা সেতু পার হয়ে এ দৃশ্য দেখা যায়। কিন্তু কেন এ সারি? প্রশ্নের উত্তর মেলে মোটরসাইকেল চালকদের সঙ্গে কথা বলে।
তারা বলেন, স্বস্তির ঈদ ছিল এবার। বাড়ি ফিরতে কোনো ঝক্কি-ঝামেলা ছিল না। কাজে ফিরতেও অসুবিধা হবে না।
কিন্তু ঈদের পর বিনোদনের অংশ হিসেবে, মোটরসাইকেল নিয়ে অসংখ্যা মানুষ পদ্মা পাড়ে এসেছেন ঘুরতে। শিবচরের বিভিন্ন স্থানে ঘোরাফেরা করছেন তারা।
মোটরসাইকেল আরোহীদের ব্যাপক চাপে তাই টোলপ্লাজায় ভিড় লেগেছে। সারি বড় হতে হতে পার হয়েছে এক্সপ্রেসওয়ে থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত।
সেই সারি থেকে কথা হয় সিয়াম খান নামে এক তরুণের সঙ্গে। তিনি বলেন, সব সময় ঢাকায় ঈদ করি। এবার গ্রামের দিকে এলাম। সরকার যেহেতু পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচলের অনুমতি দিয়েছে, তাই এক্সপ্রেসওয়েতে ঘুরতে এসেছি। পদ্মার পাড়ে বসবো, গ্রামের চায়ের দোকানে চা পান করবো। পরে ঢাকা ফিরবো।
পদ্মা সেতুতে বাইকারদের জন্য টোল নির্ধারণ করা হয়েছে ১০০ টাকা। মাওয়া প্রান্তের টোলপ্লাজা সূত্রে জানা গেছে, সরকার অনুমতি দেওয়ার পর মোটরসাইকেল থেকে ব্যাপক টোল উঠছে। হাজার হাজার মোটরসাইকেলের ভিড় হওয়ায় আলাদা বুথে টোল আদায় করা হচ্ছে। তারপরও দীর্ঘ সারির সৃষ্টি হচ্ছে।
শিবচর হাইওয়ে থানায় কথা বলে জানা গেছে, সোমবার বিকেল থেকে এক্সপ্রেসওয়ের ভাঙ্গাগামী লেনে মোটরসাইকেলের ব্যাপক ভিড় রয়েছে। ঢাকাগামী মোটরসাইকেলেরও চাপ রয়েছে। পুলিশ তৎপর রয়েছে; চেকপোস্ট রয়েছে। মোটরসাইকেল আরোহীদের হেলমেট নিশ্চিত করতে হাইওয়ে পুলিশ কাজ করছে।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, পরিবহনের গতিসীমা, ফিটনেস না থাকা এবং মোটরসাইকেল আরোহীদের হেলমেট ব্যবহার নিশ্চিতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। যেকোনো সমস্যা সমাধানে পুলিশ তৎপর রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০২৩
এমজে