কক্সবাজার: কক্সবাজারের চকরিয়ায় অভিযান চলাকালে তিন পুলিশকে কুপিয়ে অস্ত্র (শর্টগান) ছিনিয়ে নিয়েছে একদল সন্ত্রাসী। তবে ঘটনার ৬ ঘণ্টা পর অস্ত্রটি উদ্ধার করা হয়েছে বলে দাবি পুলিশের।
মঙ্গলবার দিনগত (২৬ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১২টার দিকে চকরিয়ার বরইতলী ইউনিয়নের মহছনিয়াকাটা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ১৫ জনকে আটক করা হয়েছে। গুরুতর আহত পুলিশের তিন সদস্যকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন- এসআই শামীম আল হাসান, কনস্টেবল তরিকুল ও মামুন। তারা চকরিয়া থানার নিয়ন্ত্রণাধীন হারবাং পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) চন্দন কুমার চক্রবর্তী।
পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার রাতে হারবাং ফাঁড়ির এসআই শামীম আল হাসানের নেতৃত্বে কনস্টেবল তরিকুল ও মামুন বরইতলী ইউনিয়নের মহছনিয়াকাটা এলাকায় অভিযানে যায়। পরে এই পুলিশ দল সড়কে তল্লাশি চালানোর সময় রাকিব নামের এক যুবককে তল্লাশি চালাতে চাইলে তিনি পালিয়ে নিকটবর্তী একটি বাড়িতে ঢুকে চিৎকার-চেঁচামেচি করেন। এতে ওই এলাকার স্থানীয় লোকজন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে পুলিশের উপর হামলা চালায়। ওইসময় পুলিশের কাছ থেকে একটি শর্টগান ছিনিয়ে নেওয়া হয়।
এসময় এসআই শামীম, কনস্টেবল তরিফুল ও মামুনকে মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন অংশে কুপিয়ে গুরুত্বর জখম করে তারা। এতে এক পুলিশ সদস্যের হাতের আঙুল বিচ্ছিন্ন হয়। পরে থানা ও ফাঁড়ি পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে প্রথমে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে তাদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে রেফার করা হয়। বর্তমানে তারা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এ ব্যাপারে চকরিয়া থানার ওসি চন্দন কুমার চক্রবর্তী বলেন, ছিনতাই হওয়া শর্টগান বুধবার সকাল ৬টায় মহছনিয়াকাটা থেকে উদ্ধার হয়েছে। এসআই শামীমসহ দুই কনস্টেবলকে কুপিয়ে জখমের ঘটনায় ১৫ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে। তবে মামলার স্বার্থে আটকদের নাম জানাতে অপরাগতা প্রকাশ করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০২৩
এসবি/এসএ