ঢাকা: কেরানীগঞ্জের ওয়াশপুরে পূর্বশত্রুতার জের ধরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে চার যুবক আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে তিনজন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
মঙ্গলবার (২৫ এপ্রির) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ওয়াশপুর মুক্তি মাঠের পাশের একটি খাবার হোটেলে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- দোকান কর্মচারী আব্দুল্লাহ(২১), রুটির কারখানার শ্রমিক আসিফ (২৪), কাঁচামাল বিক্রেতা ইয়ামিন (১৮) ও রবিন হাসান রাব্বী (১৯)।
বুধবার (২৬ এপ্রিল) ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, রাতে চার যুবক ছুরিকাঘাতে আহত হয়ে এখানে আসেন। চারজনেরই শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ছুরিকাঘাত রয়েছে। এদের মধ্যে আসিফ বাদে তিনজনের অবস্থা গুরুতর। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত আব্দুল্লাহ জানান, তিনি মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটে একটি কাপড়ের দোকানে কাজ করেন। বর্তমানে মোহাম্মদপুর কাটাসুর এলাকায় থাকেন। এরপর রাত ১১টার দিকে বন্ধুদের সঙ্গে ওয়াশপুর মুক্তি মাঠের পাশে একটি হোটেলে ভাত খেতে যান। হঠাৎ সেখানে ১০ থেকে ১৫ যুবক সিএনজি চালিত অটোরিকশা থেকে নেমে হোটেলে ঢুকে তাদের চারজনকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে। তবে কী কারণে এ হামলা করেছে বলতে পারব না।
এদিকে মোহাম্মদপুর থানা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মো. সাজ্জাদ হোসেন জানান, ঈদের রাতে বোর্ডঘাটে এলাকার ছোট ভাই মোহসিন ও হিরাকে মারধর করে স্থানীয় কিছু যুবক। এই ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার দিনগত রাতে চারজন ওয়াশপুরের একটি হোটেলে যায়। তখন সেখানে মোহাম্মদপুর বোর্ডঘাট এলাকার সজিব, শামিম, ছোট হাসান, ফরহাদ, আলমগীর, রুবেল চেকু শাকিলসহ ১০ থেকে ১৫ জন হোটেলে ঢুকে তাদের চারজনকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে।
মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ জানান, কয়েকদিন আগে এলাকায় একটি মারামারির ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। এর জের ধরে মঙ্গলবার দিনগত রাতে কেরানীগঞ্জে মারামারির ঘটনা ঘটেছে।
এদিকে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) খালেদুর রহমান জানান, এখনো পর্যন্ত মারামারির ঘটনায় থানায় কেউ অভিযোগ নিয়ে আসেনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০২৩
এজেডএস/এমএমজেড