ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

কক্সবাজারে ট্রলারে ১০ মরদেহ: গ্রেপ্তার আরও ৩

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৩৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৭, ২০২৩
কক্সবাজারে ট্রলারে ১০ মরদেহ: গ্রেপ্তার আরও ৩

কক্সবাজার: কক্সবাজার শহরের নাজিরারটেক সমুদ্র উপকূলে ডুবন্ত ট্রলারে ১০ জনের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।  

বুধবার (২৬ এপ্রিল) রাতে গ্রেপ্তার একজনকে চকরিয়ার বদরখালী থেকে ও দুইজনকে চট্টগ্রামের বাঁশখালী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এ পর্যন্ত চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।  

এদিকে মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) রাতে মহেশখালী উপজেলার কুতুবজোমের সোনাদিয়া খালে উদ্ধার হওয়া একটি কঙ্কালও ওই ট্রলারের বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। পুলিশ ওই কঙ্কালের নমুনা ডিএনএ পরীক্ষার জন্যে পাঠিয়েছে।

কক্সবাজারের পুলিশ সুপার (এসপি)মো. মাহফুজুল ইসলাম জানান, পুলিশ প্রযুক্তির সহায়তায় বুধবার রাতে এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে চকরিয়া উপজেলার বদরখালী এলাকা থেকে গিয়াস উদ্দিন মুনির (৩২) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। মুনির বদরখালী এলাকায় মো. নুর নবীর ছেলে। তাকে বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকালে এ ঘটনায় সন্দেহজনক দুইজনক র‌্যাব আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে বলে জানিয়েছেন এসপি মো. মাহফুজুল ইসলাম।  

তিনি বলেন, বাঁশখালীর কুদুকখালী থেকে তাদের আটক করা হয়। তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।  

গ্রেপ্তার সিরাজুল হকের ছেলে ফজল কাদের মাঝি (৩০) ও শামসুল আলমের ছেলে আবু তৈয়ব মাঝি (৩২) ওই এলাকার বাসিন্দা। এর আগে গ্রেপ্তার দুই আসামি বাইট্টা কামাল ও করিম সিকদারকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে পাঁচদিনের রিমান্ডে নিয়েছে।

পুলিশ সুপার জানান, মহেশখালী থেকে উদ্ধার হওয়া মানুষের কঙ্কাল ১০ মরদেহের সঙ্গে ছিল কিনা দেখা হচ্ছে। এ কঙ্কালের নমুনা সংগ্রহ করে ডিএনএ পরীক্ষার জন্যে পাঠানো হয়েছে। উদ্ধার হওয়া ১০ মরদেহে কোনো ধরনের আঘাত ছিল-জানতে চাইলে পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলাম বলেন, মরদেহগুলো অর্ধগলিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। কারও শরীরে গুলি বা অন্য কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তাদের হাত-পা বেঁধে হিমঘরে আটকে হত্যা করা হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে।

পুলিশ এ ঘটনায় ভিন্ন ভিন্ন তথ্য ও ঘটনার সূত্র পেয়েছেন বলে জানান পুলিশ সুপার।  

তিনি বলেন, দুইজন আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তারা এ মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি। পুলিশ এ ঘটনায় কয়েকটি উৎসকে সামনে রেখে তদন্ত করছে। খুব শিগগিরই ঘটনার রহস্য উদঘাটন সম্ভব হবে।

১০ মরদেহের ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন এখনও পুলিশের হাতে দেওয়া হয়নি বলে জানানকক্সবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা আশিকুর রহমান।  

মরদেহে কোনো ধরনের আঘাত পাওয়া গেছে জানতে চাইলে তিনি এ সংক্রান্ত তথ্য দিতে অস্বীকৃতি জানান।  

গত রোববার (২৩ এপ্রিল) সাগরে ডুবন্ত ট্রলারটি গুরা মিয়া নামে এক ব্যক্তির মাছ ধরার ট্রলারের জালে আটকা পড়ে। পরে ওই ট্রলারটির সাহায্যে জেলেরা রশি দিয়ে ডুবন্ত ট্রলারটি টেনে মহেশখালীর সোনাদিয়া চ্যানেলে নিয়ে আসেন। দুপুর দেড়টার দিকে ডুবন্ত ট্রলারটি কক্সবাজার শহরের নাজিরারটেক সমুদ্র উপকূলে পৌঁছালে ট্রলারে মরদেহ থাকার বিষয়টি দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। এরপর পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস পৌঁছে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় ট্রলার থেকে ১০ জনের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে।

বাংলাদেশ সময়: ২৩৩৫ ঘন্টা, এপ্রিল ২৭, ২০২৩
এসবি/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।