যশোর: শহরের পুলিশ লাইন টালিখোলা এলাকায় একটি বাড়ির নির্মাণ কাজে বাধা দিয়ে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে একটি দুর্বৃত্তচক্র। ২০ হাজার টাকা দিলেও আরও ৫০ হাজার টাকা দাবিতে ওই বাড়ির নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) এ ঘটনায় যশোর কোতয়ালি থানায় তিন জনের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৭/৮ জনকে আসামি করে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। পুলিশ অভিযোগটির তদন্ত শুরু করেছে।
অভিযুক্তরা হলেন- পুলিশ লাইন টালিখোলা (পাবনা পাড়া) এলাকার রতনের ছেলে ইব্রাহিম (২৬) ও ইসমাইল এবং ফারুকের ছেলে রাজুসহ (৪০) অজ্ঞাতনামা আরও ৭/৮ জন।
নির্মাণাধীন বাড়ির কেয়ারটেকার পুলিশ লাইন টালিখোলা এলাকার আব্দুস সালামের ছেলে সবুজ হোসেন কোতয়ালি থানায় অভিযোগটি দায়ের করেন।
অভিযোগে সবুজ হোসেন উল্লেখ করেন, বাড়ির মালিক মফিজুর রহমান পুলিশ লাইন টালিখোলার পাবনা পাড়ায় বাড়ি নির্মাণ করার জন্য তাকে কেয়ারটেকার হিসেবে নিয়োগ দেন। একই সঙ্গে তিনি নৈশপ্রহরী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করতে থাকেন। এ বাড়ি নির্মাণে ঠিকাদার ছিলেন জামির হোসেন।
অভিযোগে আরও উল্লেখ, বাড়ি নির্মাণে বাধা দিয়ে ইব্রাহিম, রাজু ও ইসমাইল ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। অভিযুক্তরা সবুজ হোসেনকে তার মালিক মফিজুর রহমানের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা এনে দিতে বলে। টাকা এনে না দিলে তাকে খুন করে লাশ গুম করে দেওয়ার হুমকিও দিতে থাকে তারা। এর মধ্যে বাড়ি নির্মাণে নিযুক্ত ঠিকাদার জামির হোসেন কাজ শুরু করলে, তার কাজ বন্ধ করে দেয় ওই দুর্বৃত্তরা। তিনি ২০ হাজার টাকা চাঁদা দিয়ে ফের কাজ শুরু করেন।
গত ২৬ এপ্রিল সন্ধ্যা ৭টার দিকে নির্মাণাধীন বাড়িতে এসে দুর্বৃত্তরা আবারও চাঁদা দাবি করে এবং মফিজুর রহমানের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা এনে দেওয়ার জন্য চাপ দেয়। টাকা না দেওয়ায় কেয়ারটেকার সবুজ হোসেনকে মারপিট করে তার মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। এসময় তার চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে আসলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।
এ ঘটনা বাড়ির মালিক ও ঠিকাদারকে জানিয়ে শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরেজমিনে তদন্ত শুরু করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কোতয়ালি থানার এসআই হেলাল উদ্দিন।
বাংলাদেশ সময়: ১০০৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০২৩
এনএস