ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

বৃদ্ধ বাবা-মায়ের যত্ন নেওয়া সন্তানদের সামাজিক-আইনগত দায়িত্ব: তথ্যমন্ত্রী   

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০২৩
বৃদ্ধ বাবা-মায়ের যত্ন নেওয়া সন্তানদের সামাজিক-আইনগত দায়িত্ব: তথ্যমন্ত্রী    তথ‍্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ

ঢাকা: বৃদ্ধ বাবা-মা ও অভিভাবকের যত্ন নেওয়া সন্তানদের সামাজিক ও আইনগত দায়িত্ব বলে জানিয়েছেন তথ‍্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।  

তিনি আরও বলেন, অসহায় ও অসুস্থ মা-বাবার ভরণ-পোষণ না দেওয়া বা তাদের রাস্তায় ফেলে চলে যাওয়া দণ্ডনীয় অপরাধ।

 

শনিবার (২৯ এপ্রিল) রাজধানীর মিরপুরের দক্ষিণ পাইকপাড়ায় 'চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার' পরিদর্শনকালে তিনি এ কথা বলেন।  

এদিন দুপুরে বৃদ্ধাশ্রমে উপস্থিত হয়ে মন্ত্রী চট্টগ্রামের নিজ উপজেলা রাঙ্গুনিয়ার সাবেক শিক্ষক সেলিম মাস্টারের পাশে কিছু সময় অবস্থান করেন ও তার এ অবস্থার উত্তরণের জন্য সন্তানদের খুঁজে বের করতে এরই মধ্যেই দেওয়া নির্দেশনার কথা জানান।

আবেগাপ্লুত সেলিম মাস্টার মন্ত্রীকে জানান, তিনি আগামী নির্বাচনের সময় এলাকায় গিয়ে হাছান মাহমুদের নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিতে চান।

ড. হাছান আশ্রমের অন্যান্য কক্ষ ঘুরে বাসিন্দাদের খোঁজখবর নেন, তাদের হাতে উপহার সামগ্রী তুলে দেওয়ার শেষে ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার ফাউন্ডেশন’র প্রতিষ্ঠাতা মিল্টন সমাদ্দারের হাতে আর্থিক সহায়তার একটি চেক তুলে দেন।

প্রতিষ্ঠান পরিচালক মিল্টন সমাদ্দার ও সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে হাছান মাহমুদ বলেন, প্রত্যেক সন্তানের উচিত বাবা-মা যেমনই হোক, যতদিন বেঁচে থাকে তাদের সেবা করা। আমাদের দেশে সাধারণত মানুষ তা-ই করে থাকে। আমাদের সরকার এ বিষয়ে আইনও প্রণয়ন করেছে। যারা এটি করে না, তারা যেমন একদিকে সামাজিক অন্যায় করছে, অপরদিকে রাষ্ট্রের আইন অনুযায়ী একটি গুরুতর অপরাধ করছে। এ অপরাধ ক্ষমার অযোগ্য।

আশ্রম প্রতিষ্ঠার উদ্যোগের প্রশংসা করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, মিল্টন সমাদ্দার যে কাজটি করছেন সেটি অনন্য অসাধারণ কাজ। আমি দেশের একজন নাগরিক হিসেবে সরকারের একজন মন্ত্রী হিসেবে তার প্রতি কৃতজ্ঞতা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি। এরই মধ্যেই তাকে আমাদের সরকারের পক্ষ থেকে স্বীকৃতি ও উৎসাহ দেওয়ার জন্য যুব পুরস্কার এবং সমাজকল্যাণ পুরস্কার দেওয়া হয়েছে, নানাভাবে সহায়তা করা হয়েছে, প্রয়োজনে আমরা আরও সহায়তা করবো। আমি মনে করি, তার পদাঙ্ক অনুসরণ করে আরও অনেকেই এ ধরনের কাজে এগিয়ে আসবে।

মিল্টন সমাদ্দার জানান, ২০১৪ সালে একজন অসহায় বৃদ্ধকে নিজের বাসায় নিয়ে আসার পর থেকে মনের তাগিদে তিনি এ আশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে ১৫ জন অনাথ শিশু, ২০ জন বিশেষ শিশু-কিশোর ও ১৩৫ জন বৃদ্ধ-বৃদ্ধা সম্পূর্ণ বিনাখরচে বিভিন্ন মানুষের ব্যক্তিগত দানের মাধ্যমে পরিচালিত এ 'চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার হোমে' আছেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯,২০২৩
জিসিজি/জেএইচ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।