পাথরঘাটা (বরগুনা): কুকুরের কামড় ও ধাওয়া খেয়ে বিষখালী নদীতে ঝাঁপ দিয়েও শেষ রক্ষা হয়নি। শেষ পর্যন্ত চিকিৎসাধীন মারা যায় হরিণটি।
রোববার (৩০ এপ্রিল) দুপুর ১টার দিকে পাথরঘাটা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে সুন্দরবনের মায়াবী এই প্রাণীটি।
এর আগে সকালে পাথরঘাটা উপজেলার হরিণঘাটা পর্যটন কেন্দ্রের বন সংলগ্ন নদী থেকে হরিণটিকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে বন বিভাগের সদস্যরা।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বন বিভাগের হরিণঘাটা বিট কর্মকর্তা মো. আল-আমিন বলেন, হরিণঘাটা পর্যটন কেন্দ্রের সংরক্ষিত বনে নিয়মিত টহল দিচ্ছিলাম। এমন সময় সকাল (৩০ এপ্রিল) সাড়ে ৯টার দিকে কয়েকটি কুকুরের ধাওয়া খেয়ে হরিণটি বিষখালী নদীতে ঝাঁপ দেয়। তাৎক্ষণিক আমরা হরিণটি উদ্ধার করে ঘটনাস্থল থেকে দ্রুত পাথরঘাটা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসি। তবে দুপুর ১টার দিকে চিকিৎসাধীন মারা যায় পুরুষ হরিণটি।
এ বিষয়ে পাথরঘাটা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. অরবিন্দ বলেন, হরিণটির এক পায়ে কামড়ের চিহ্ন ছিল। পাটি ব্যান্ডেজ করার সময়েই মারা যায় প্রাণীটি। হরিণের পায়ে ছাড়াও গলায় ও শরীরে আঘাত দেখা গেছে।
এদিকে, প্রশাসনের নিদের্শনা অনুযায়ী হরিণটির মরদেহ মাটিতে পুঁতে ফেলা হয়েছে এবং চামড়া সংরক্ষণ করা হয়েছে বলেও জানান বিট কর্মকর্তা মো. আল-আমিন।
এর আগেও চলতি বছরের ২০ মার্চ দুটি ও ১২ এপ্রিল একটি মৃত হরিণ উদ্ধার করে বন বিভাগ।
বারবার কুকুরের কামড়ে এভাবে হরিণের মৃত্যুর ঘটনায় কোনো পদক্ষেপ নিয়েছেন কি না- জানতে চাইলে বিট কর্মকর্তা আল আমিন বলেন, বিষয়টি আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জানিয়েছি। কুকুরগুলোর বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০২৩
এনএস