ঢাকা: ‘কিয়ের মে দিবস ভাই, এগুলি আমরা বুঝি না। মালিকই মা-বাপ।
সোমবার (১ মে) ফার্মগেট এলাকায় কথা হয় তার সঙ্গে। সাজ্জাদ বাংলানিউজকে জানান, তিনিসহ মোট ৬ জন ওই ওয়ার্কশপে কাজ করেন। তারা মূলত স্টিলের দরজা, জানালা, কেবিনেট ইত্যাদি তৈরি করেন। তিনি ওই ওয়ার্কশপে প্রায় ৪ বছর ধরে আছেন। ঈদে কিছু অতিরিক্ত অর্থ পেলেও নির্দিষ্ট বেতনের বাইরে কোনো ওভারটাইম বা মজুরি পান না।
সাজ্জাদ বলেন, ‘নিয়ম-কানুন তো জানি না। এখানে মালিকের সঙ্গে আগেই চুক্তি অইছে। সেই টাকাই বেতন পাই। ঈদের চান্দে বাড়তি টাকা পাই কিছু। কাজ ভালো মনে অইলে মালিক নিজেই কিছু বেতন বাড়ান। আমি ১০ হাজার টাকা বেতনে ঢুকছিলাম, এখন ১৫ হাজারের মতো পাই। ফুল মিস্ত্রী অইলে তখন আরও কিছু বাড়বো। ’
সাজ্জাদের মতো সেখানকার অন্যান্য শ্রমিকরাও শ্রম আইন বা মে দিবস সম্পর্কে তেমন কিছুই জানেন না। ফলে মালিকরাও শ্রম আইন মানেন না। বাংলাদেশে এখনো অধিকাংশ কারখানা মালিকরা শ্রম আইন ও কারখানা আইন মেনে চলেন না।
এ জন্য মূলত শ্রমিকদের পাশাপাশি শ্রম সম্পর্কিত মন্ত্রণালয় ও শ্রম আদালতসহ সংশ্লিষ্ট দফতরগুলোর একযোগে কাজ করা জরুরি বলে মনে করেন শ্রমিক নেতারা। তবেই মে দিবসের মর্যাদা যথাযথ প্রতিষ্ঠিত হবে বলে মনে করেন তারা।
প্রসঙ্গত, শ্রমিকদের আত্মত্যাগের এই দিন সারা বিশ্বে একযোগে ‘মহান মে দিবস’ হিসেবে পালিত হচ্ছে। ১৮৮৬ সালের এই দিনে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরের ‘হে মার্কেটে’র শ্রমিকেরা শ্রমের উপযুক্ত মূল্য ও দৈনিক আট ঘণ্টা কাজের দাবিতে আন্দোলনে নামেন। ওই দিন আন্দোলনরত শ্রমিকদের ওপর পুলিশ গুলি চালায়। এতে অনেক শ্রমিক হতাহত হন। তাদের আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে দৈনিক কাজের সময় আট ঘণ্টা করার দাবি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এর পর থেকে দিনটি মে দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৩ ঘণ্টা, মে ১, ২০২৩
এমকে/এমএমজেড