কুমিল্লা: খুব কাছে থেকেই যুবলীগ নেতা জামাল হোসেনকে গুলি করেন তিনজন বোরকা পরিহিত ব্যক্তি। গুলি করার সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি।
হত্যাকাণ্ডের ২৯ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ফুটেজ থেকে দেখা যায়, এ ঘটনার কয়েক সেকেন্ড আগে একটি দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন জামাল। তার পেছনেই দুই দিকে মুখ করা দুইটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। এ সময় কালো বোরকা পরিহিত তিনজন ব্যক্তিকে দ্রুততার সঙ্গে সামনের দিকে অগ্রসর হতে দেখা যায়। জামাল দোকান থেকে বের হতেই পেছনের দিকের একটি অটোরিকশা সামনের দিকে অগ্রসর হয়। বোরকা পরিহিতরা পিস্তল তাক করতেই কিছুটা ব্যাকফুটে গিয়ে আত্মরক্ষার চেষ্টা করেন জামাল। অটোরিকশাটিও পেছনে চলে আসে। এর আগেই গুলি শুরু হয়।
সেখানে দুইজন একটু পেছন থেকে ও আরেকজন খুব কাছাকাছি থেকে জামালকে গুলি করেন। কালো শার্ট পরা যুবলীগ নেতা জামাল অটোরিকশার সামনে রাস্তায় পড়ে গেলে তাকে লক্ষ্য করে আরও দুইটি গুলি ছোড়েন কাছাকাছি থেকে গুলি করা ব্যক্তিটি। এরপর তারা দ্রুততার সঙ্গে পালিয়ে যান। পালিয়ে যাওয়ার সময় একজনের ছোট চুল দেখা যায়।
হত্যাকারীদের পায়ে একই রকমের জুতা ছিল। গুলি চলাকালীন একজনের হাত থেকে পিস্তল পড়ে যেতে দেখা যায়। হত্যাকাণ্ডের সময় আশেপাশের মানুষজনকে ছোটাছুটি করতে দেখা যায়। কেউ রাস্তায় দাঁড়িয়েই হত্যাকাণ্ড প্রত্যক্ষ করেন।
রোববার (৩০ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে কুমিল্লার দাউদকান্দির গৌরিপুর বাজারে এভাবেই হত্যা করা হয় জেলার তিতাস উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক জামাল হোসেনকে। তিতাস উপজেলা বাড়ি হলেও তিনি ব্যবসা করতেন দাউদকান্দির গৌরিপুর বাজারে।
সোমবার সন্ধ্যায় নিহত জামালের বড় ভাই কামাল হোসেনর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
কুমিল্লার পুলিশ সুপার (এসপি) আবদুল মান্নান বাংলানিউজকে বলেন, আমরা শুটারদের ধরতে শতভাগ আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছি। অন্যান্য সংস্থাও আমাদের সঙ্গে কাজ করছে। হত্যাকাণ্ডের কারণ বা জামালের সঙ্গে কারো শত্রুতা আছে কিনা, সে বিষয়গুলো গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। হত্যাকাণ্ড সম্পর্কিত যে কোনো ঘটনার অগ্রগতি হলে সংবাদ সম্মেলন করে জানিয়ে দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১২২৯ ঘণ্টা, মে ০২, ২০২৩
এফআর