ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

‘ঘূর্ণিঝড় মোচা’র বার্তা, দুশ্চিন্তায় উপকূলবাসী

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৫ ঘণ্টা, মে ৩, ২০২৩
‘ঘূর্ণিঝড় মোচা’র বার্তা, দুশ্চিন্তায় উপকূলবাসী

সাতক্ষীরা: ঘূর্ণিঝড় আম্পান ও সিত্রাংয়ের ক্ষয়ক্ষতি এখনো কাটিয়ে উঠতে পারিনি সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপকূলবাসী। এরইমধ্যে ঘূর্ণিঝড় মোচা’র বার্তা রীতিমতো দুশ্চিন্তায় ফেলে দিয়েছে তাদের।

 

স্থানীয়রা জানান, শ্যামনগর উপকূলজুড়ে বিভিন্ন স্থানে বেড়িবাঁধ সংস্কারের কাজ চললেও বেশ কিছু স্থান এখনো মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। আবার, অনেক স্থানে দায়সারাভাবে বেড়িবাঁধ সংস্কার করা হয়েছে। যা ঘূর্ণিঝড় সৃষ্ট প্লাবন মোকাবিলার সক্ষমতা রাখে না।

যদিও পাউবোর দাবি, ঠিক উল্টো। পাউবো বলছে, শ্যামনগর বেল্টের গাবুরা, বুড়িগোয়ালিনী, আটুলিয়া, কাশিমাড়ীসহ অন্যান্য ইউনিয়নের ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ সংস্কার করা হয়েছে।  

পদ্মপুকুর ইউনিয়নের পাতাখালি এলাকার বাইজিদ হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের ইউনিয়নের বেশ কিছু জায়গায় ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবার সংস্কার করা হয়েছে। কোথাও কোথাও কাজ চলছে। একই ইউনিয়নের ঝাপা এলাকার দেবনাথ কুমার বলেন, কিছু দিন আগে ঝাপা হাইস্কুল থেকে খেয়াঘাট অভিমুখে তিন কিলোমিটার বাঁধ সংস্কারের কাজ করেছে। তবে এসব বাঁধ উচ্চ-জোয়ারে টিকবে না। কাজ করা হয়েছে নামমাত্র।



বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ভবতোষ মণ্ডল জানান, বর্তমানে বুড়িগোয়ালিনীর দুর্গাবাটিতে দুই জায়গায় ও দাতিনাখালীসহ মোট তিনটি স্থান ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।

মুন্সীগঞ্জ ইউনিয়নের বাসিন্দা মাসুম বিল্লাহ জানান, হরিনগর খাদ্য গুদাম সংলগ্ন মৌখালী নদীর পাড়সহ চারটি স্থান খুবই ঝুঁকিতে রয়েছে। এগুলো অবিলম্বে সংস্কার করা দরকার।

গাবুরা ইউনিয়নের ছয় নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য আবদুর রহিম বলেন, হরিষখালী, পার্শেমারী টেকেরহাট, গাবুরা, চকবারা, লেবুবুনিয়াসহ পাঁচটি স্থানে বেড়িবাঁধ জরাজীর্ণ হয়ে আছে।

কাশীমাড়ি ইউনিয়নের বাসিন্দা ইমরান হোসেন বলেন, ঝাপালী বাজার থেকে ঘোলা খেয়াঘাট অভিমুখে বেড়িবাঁধের ৩টি স্থান অবস্থা অত্যন্ত নাজুক অবস্থায় রয়েছে।

আটুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আবু সালেহ বাবু বলেন, আটুলিয়া ইউনিয়নে তিনটি পয়েন্ট ঝুঁকিপূর্ণ। এর মধ্যে বিড়ালক্ষীতে দুইটি ও বড় কুপটের একটি জায়গা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। ঘূর্ণিঝড় মোচা আঘাত হানলে এসব জায়গার বাঁধ টিকবে কি না তা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে।

যদিও শ্যামনগরে কর্মরত পাউবোর এসও সাজ্জাদ হোসেন বলেন, শ্যামনগরে পাউবোর বেড়িবাঁধের অধিকাংশ ঝুঁকিপূর্ণ স্থান মেরামত সম্পন্ন হয়েছে। বাকিগুলোর কাজ চলছে।



ঘূর্ণিঝড় মোচা নিয়ে শ্যামনগর প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শাহিনুল ইসলাম বলেন, ইতোমধ্যে বিষয়টি নিয়ে প্রত্যেক ইউপি চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা হয়েছে। তাদেরকে সজাগ থাকার জন্য বলা হয়েছে।

শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আক্তার হোসেন বলেন, আমরা ইতোমধ্যে প্রত্যেক ইউপি চেয়ারম্যান ও সিপিপি টিম লিডারদের সঙ্গে কথা বলেছি। উপজেলার ১০৩টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করার জন্য বলা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২২ ঘণ্টা, মে ০৩, ২০২৩
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।