বরগুনা: গ্রাহক হয়রানির অভিযোগে বরগুনা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক রাশেদুল ইসলামকে জেলার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তলব করা হয়েছে।
বুধবার (৩ মে) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মো. নাহিদ হোসেন এ আদেশ দেন।
ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশের বরাত দিয়ে আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. মুবিন জানান, মঙ্গলবার (২ মে) মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম নামে একজন সেবাগ্রহীতা বরগুনা পাসপোর্ট অফিসে পাসপোর্ট সংশোধনের জন্য যান। তিনি মোহাম্মদ জহিরুল ইসলামের স্থলে জাতীয় পরিচয় পত্র অনুযায়ী এমডি জহিরুল ইসলাম লেখাতে গেলে তাকে পাসপোর্ট অফিস এফিডেভিট করে নিয়ে আসতে বলে। কিন্তু আদালতের ভাষ্য অনুযায়ী, ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুসারে এফিডেভিটের প্রয়োজন নেই।
আদালত বলেন, নথি পর্যালোচনায় দেখা যায়, মো. জহিরুল ইসলামের পাসপোর্ট নবায়নের দরখাস্তে সহকারী পরিচালক কোর্ট এফিডেভিট দিতে হবে বলে মন্তব্য করলেও সার্কুলার অনুযায়ী এফিডেভিট প্রয়োজন নেই।
মো. জহিরুল ইসলাম আদালতে এফিডেভিট করতে গেলে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নাহিদ হোসেনের নজরে আসে বিষয়টি।
আদেশে ম্যাজিস্ট্রেট উল্লেখ করেন, পাসপোর্ট অধিদপ্তরের ২৯ নভেম্বর ২০২১ তারিখে জারি করা পরিপত্র অনুযায়ী, খ দফা অনুসারে নামের বানান সংশোধন ছাড়াও কারো পাসপোর্টে যদি মোহাম্মদ থাকে, তিনি যদি সনদের মতো করে পাসপোর্টে এমডি করতে চান, সে ক্ষেত্রে এফিডেভিট করার প্রয়োজন নেই। এ ক্ষেত্রে সেবা প্রার্থীদের হয়রানি করা পাসপোর্ট অধিদপ্তরের সার্কুলারের সুস্পষ্ট লংঘন। যে কারণে সেবাগ্রহীতার আর্থিক অপচয় এবং মূল্যবান সময় নষ্ট হয়।
এ বিষয়ে কেন ব্যবস্থা নিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর সুপারিশ করা হবে না, তা বরগুনা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক রাশেদুল ইসলামকে আগামী ১০ মে আদালতে সশরীরে হাজির হয়ে লিখিতভাবে ব্যাখ্যা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১১ ঘণ্টা, মে ৩, ২০২৩
এসআই