ঢাকা, মঙ্গলবার, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

শুরু হলো রাশিয়ার নির্মাণাধীন মিশরের তৃতীয় পরমাণু বিদ্যুৎ ইউনিটের কাজ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৯ ঘণ্টা, মে ৪, ২০২৩
শুরু হলো রাশিয়ার নির্মাণাধীন মিশরের তৃতীয় পরমাণু বিদ্যুৎ ইউনিটের কাজ

ঢাকা: রাশিয়ার সহায়তায় নির্মাণাধীন মিশরের এল-দাবা পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের তৃতীয় ইউনিটে প্রথম কংক্রিট ঢালাইয়ের মাধ্যমে  নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। গত ৩ মে এ কংক্রিট ঢালাইয়ের কাজ শুরু হয়।

বৃহস্পতিবার (০৪ মে) প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা রোসাটম থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এল-দাবা এনপিপি মিশরের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প। বাংলাদেশের রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মতো রাশিয়ার রোসাটমের প্রকৌশল শাখা এএসই জেনারেল কন্ট্রাকটর হিসেবে মিশরের এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। এল-দাবা এনপিপির তৃতীয় ইউনিটে প্রথম কংক্রিট ঢালাইয়ের মাধ্যমে গত ৩ মে মূল নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। পুরো প্রকল্পটি বাস্তবায়নে সহায়তা করছে রাশিয়া। গত ২৯ মার্চ মিশরের পারমাণবিক ও রেডিওলজিক্যাল নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ এ ইউনিটের নির্মাণ কাজের অনুমোদন দেয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মিশরের পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ড. আগমেদ এল-ওয়াকিল বলেন, গত বছর এ প্রকল্পে আমরা কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক অর্জনে সমর্থ হয়েছি, যার মধ্যে আছে প্রথম ও দ্বিতীয় ইউনিটে ফার্স্ট কংক্রিট এবং প্রথম ইউনিটের জন্য কোর ক্যাচার ডেলিভারি গ্রহণ।

এটমস্ত্রয়এক্সপোর্ট (এএসই) সিনিয়র ভাইস-প্রেসিডেন্ট ড. আলেক্সান্ডার কোর্চাগিন জানান যে, ভিভিইআর ১২০০ ডিজাইন ভিত্তিক পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে তার প্রতিষ্ঠানের ব্যাপক অভিজ্ঞতা রয়েছে। এর ফলে এল-দাবা প্রকল্পের নিজস্ব বৈশিষ্ট্য মাথায় রেখেই, প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির উৎপাদন সমন্বয় এবং কর্মীদের নিয়ে কোর টিম গঠন সম্ভব হয়েছে।

এল-দাবা পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পটি কায়রো থেকে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে ভূমধ্যসাগর উপকূলে নির্মিত হচ্ছে। এ প্রকল্পে তিন প্লাস প্রজন্মের রুশ ভিভিইআর ১২০০ চুল্লি ভিত্তিক চারটি ইউনিট থাকবে, প্রতিটির উৎপাদন ক্ষমতা হবে ১২০০ মেগাওয়াট।

বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ ছাড়াও রাশিয়া প্রকল্পটির পুরো আয়ুষ্কাল জুড়ে জ্বালানি সরবরাহ, মিশরের জন্য প্রয়োজনীয় জনবল প্রশিক্ষণ, প্রকল্পটির প্রথম ১০ বছর অপারেশন্স ও সার্ভিসিং সেবা দেবে। এছাড়াও স্পেন্ট ফুয়েল সংরক্ষণাগার নির্মাণ ও প্রয়োজনীয় কাস্ক সরবরাহ করবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৯ ঘণ্টা, মে ০৪, ২০২৩
এসকে/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।