ঢাকা: নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে স্টিল মিলে বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ অবস্থায় চিকিৎসাধীন আলমগীর হোসেন (৩০) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে চারজন হলো।
শুক্রবার (০৫ মে) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে তার মৃত্যু হয়।
চিকিৎসকের বরাত দিয়ে তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া। তিনি জানান, আলমগীরের শরীরে ৯০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বেলা সাড়ে ১২টায় তার মৃত্যু হয়েছে। তার মরদেহটি মর্গে রাখা হয়েছে।
এরআগে গতকাল বৃহস্পতিবার (০৪ মে) বিকেল ৪টার দিকে উপজেলার গাউছিয়া সাউঘাট এলাকার আরআইসিএল স্টিল মিলে লোহা গলানোর ভাট্টিতে বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণে গলিত তরল লোহা শ্রমিকদের উপর ছিটকে পড়লে গুরুতর দগ্ধ হন সাতজন। হাসপাতালে নেওয়ার পথেই মারা যান শংকর (৪০) নামে একজন। আর বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে মারা যান ইলিয়াস আলী (৩৫)। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মারা যান নিয়ন। এই ঘটনায় দগ্ধ অন্যরা হলেন, মো. জুয়েল (২৫), গোলাম রাব্বানি রাব্বি (৩৫) ও ইব্রাহিম (৩৫)।
মৃত আলমগীরের খালাতো ভাই মো. ফারুক জানান, আলমগীরের বাড়ি হবিগঞ্জের আজমিরিগঞ্জ উপজেলার জলশুকা গ্রামে। তার বাবার নাম আজাদ আলী। বর্তমানে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা শাহীবাজার এলাকায় পরিবার নিয়ে থাকতেন। গত দুই মাস ধরে স্টিল মিলে কাজ করতেন তিনি।
কারখানাটির সুপারভাইজার হারুন উর রশিদ জানান, তারা কারখানায় ভাট্টিতে লোহা গলানোর কাজ করছিলেন। ভাট্টির আশপাশে ১৫-১৬ জন শ্রমিকে ছিলেন। হঠাৎ করেই ভাট্টিতে বিস্ফোরণ হয়ে গলিত লোহা চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এতে তারা দগ্ধ হন। উদ্ধার করে সঙ্গে সঙ্গে শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়। চিকিৎসকেরা জানান, দগ্ধ বাকি তিনজনের সবার অবস্থায়ই আশঙ্কাজনক। এদের মধ্যে জুয়েলের শরীরের ৯৭ শতাংশ পুড়ে গেছে, রাব্বির ৯৫ ও ইব্রাহিমের ২৮ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।
আরও পড়ুন: রূপগঞ্জের কারখানায় ভাট্টি বিস্ফোরণে নিহত ১, দগ্ধ ৬
আরও পড়ুন: রূপগঞ্জে ভাট্টি বিস্ফোরণে আরও একজনের মৃত্যু, সংখ্যা বেড়ে ৩
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩০ ঘণ্টা, মে ০৬, ২০২৩
এজেডএস/এসআইএ