টাঙ্গাইল: যমুনা নদীর পাড়ঘেষা টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার ধুবারিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে অসময়ে ভাঙন শুরু হয়েছে । ভাঙনের কবলে পড়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে নদী পাড়ের বাসিন্দারা।
ইতোমধ্যে ভাঙনে সহায়-সম্বল হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে অসংখ্য পরিবার। শত প্রতিশ্রুতির পরেও কেউ এগিয়ে আসেনি নদীর পাড়ের এসব অসহায় পরিবারগুলোর পাশে। তবে উপজেলা প্রশাসন নদী ভাঙনের বিষয়টি ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে অবহতি করে ভাঙন প্রতিরোধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে।
সরজমিনে দেখা যায়, যমুনা নদীর ভাঙনে দিশেহারা মানুষ। চৈত্র-বৈশাখ মাসের শুষ্ক মৌসুমেও নদী তীরবর্তী ধুবড়িয়া ইউনিয়নের বলরামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভাঙনের মুখে। এখনই পদক্ষেপ না নিলে দুই একদিনের মধ্যে চলে যাবে যমুনায়। এরইমধ্যে বিভিন্ন গ্রামে শুরু হয়েছে ভয়াবহ ভাঙন। রাস্তা, কালভার্ট ও বহু ঘরবাড়ি, ফসলী জমিসহ বিভিন্ন স্থাপনা যমুনা নদীর গর্ভে চলে গেছে। বাড়ি-ঘর, ফসলী জমি হারিয়ে মানুষ দিশেহারা। এলাকাবাসীর দাবী নদী ভাঙন প্রতিরোধে স্থায়ী গাইড বাধ নির্মাণের।
বলরামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক মনিরুল ইসলাম বলেন, ভাঙন এতোটাই প্রকট আকার ধারণ করেছে যে আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই বলরামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি সম্পুর্ণ নদীতে বিলীন হয়ে যাবে। এতে এলাকার শিশুদের পড়ালেখা বন্ধ হয়ে যাবে। তাই স্কুলটি রক্ষায় নদী ভাঙন প্রতিরোধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি স্কুল শিক্ষকের।
ধুবড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান শাকিল বলেন, নদী ভাঙন শুরু হয়েছে। বলরামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভাঙনের মুখে। স্কুলটি রক্ষার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবহতি করা হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ওয়াহিদুজ্জামান জানান, নদী ভাঙনের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহতি করে ভাঙন প্রতিরোধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওিয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৯ ঘণ্টা, মে ০৫, ২০২৩
এসএ