পিরোজপুর: পিরোজপুরের কাউখালীতে পরকীয়া প্রেমের জের ধরে বড় ভাই মো. মাহাবুবুর রহমান কাজীকে হত্যা মামলার ২৫ বছর পর সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি ছোট ভাই তোহেবুর কাজী (৬০) ও তার স্ত্রী আলেয়া বেগম (৫০)কে গ্রেপ্তার করেছেন থানা পুলিশ।
রোববার (০৭ মে) তাদের পিরোজপুর জেলা আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
কাউখালী থানার অফিসার ইন চার্জ (ওসি) মো. জাকারিয়া হোসেন জাকির এ গ্রেপ্তারের তথ্য নিশ্চিত করে জানান, নিহতের ভাই ও তার স্ত্রীকে ২৫ বছর পরে পুলিশ ঢাকার যাত্রাবাড়ি কাজলা থেকে গ্রেপ্তার করেছেন। গ্রেপ্তাররা এ হত্যা মামলায় ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি।
জানা যায়, কাউখালী উপজেলার সদর ইউনিয়নের গোসনতারা গ্রামের মৃত মতিয়ার রহমানের ছেলে মাহাবুব কাজীর স্ত্রী আলেয়া বেগমের সঙ্গে তার (মাহাবুব কাজী) ছোট ভাই তোহেবুর কাজীর মধ্যে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক সৃষ্টি হয়। বিষয়টি জানাজানি হলে এ নিয়ে দুই ভাইয়ের সঙ্গে ১৯৯৮ সালের ১৭ই জুন কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে মাহাবুব কাজিকে তার স্ত্রী আলেয়া বেগম ও ছোট ভাই তোহেবুর কাজি পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী হত্যা করে।
পরে ছোট ভাই তোহেবুর কাজী তার ভাবি আলেয়া বেগমকে গোপনে বিয়ে করে পালিয়ে ঢাকায় চলে যায়। তারা পালিয়ে গিয়ে ঢাকায় যাত্রাবাড়ীর কাজলা এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করতে থাকে।
কাউখালীর থানা পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাদেরকে যাত্রাবাড়ী কাজলার বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে কাউখালীতে নিয়ে আসেন। হত্যার বিষয় পরদিন নিহতের নিকটতম আত্মীয় মুক্তি বেগম বাদী হয়ে তোহেবুর কাজী ও তার স্ত্রী (পূর্বের ভাবি) আলেয়া বেগমকে আসামি করে কাউখালী থানায় একটি হত্যা মামলা দায় করেন।
এই মামলায় গত ২০০৫ সালের ৫ সেপ্টেম্বর পিরোজপুর অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত তাদেরকে দোষী সাব্যস্থ করে ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায় আরও ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৫ ঘণ্টা, মে ০৭, ২০২৩
এসএম