ঢাকা, শনিবার, ১৩ পৌষ ১৪৩১, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাদক ও দেশি অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান চলছে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৫ ঘণ্টা, মে ৭, ২০২৩
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাদক ও দেশি অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান চলছে

ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ ও নাসিরনগর উপজেলার ২৫টি গ্রামে অভিযান চালিয়ে প্রায় তিন হাজারের বেশি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ।   শুক্রবার (৫ মে) থেকে রোববার (৭ মে) ভোর পর্যন্ত তিন দিনে অভিযান চালিয়ে এসব অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুল্লাহ সরকার এ তথ্য জানিয়েছেন।

এদিকে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের কাঁমার পেশায় যারা জড়িত আছেন তারা যেন প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া কোনো লোহার অস্ত্র তৈরি না করেন সে জন্য তাদের নিয়ে আলোচনা সভা করে সতর্ক করা হয়। যারাই দেশীয় অস্ত্র বানাতে আসবে তাদের নাম ঠিকানা রেখে পুলিশকে জানানোর বিষয়ে একমত হন কাঁমার ব্যবসায়ীরা।

নাসিরনগর থানা সূত্রে জানা গেছে, গত একমাসে নাসিরনগরে বেশকিছু সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসব সংঘর্ষের ঘটনায় প্রায় কয়েক হাজার লোক আহত এবং বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছেন। সম্প্রতি ঈদের দিন ভলাকুট ইউনিয়নের খাগালিয়া গ্রামে ধান মাড়াইয়ের জায়গা দখল নিতে দুই পক্ষের সংঘর্ষে জামাল নামে এক কৃষক নিহত হন।

এরপর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশ সুপার দেশীয় অস্ত্র উদ্ধারে বিষয়ে নাসিরনগর থানা পুলিশকে নির্দেশ দেন। এর প্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার থেকে রোববার ভোর পর্যন্ত উপজেলার প্রায় ২৫টি গ্রামে অভিযান চালিয়ে ৩ হাজার দেশীয় অস্ত্র জব্দ করা হয়। জব্দকৃত অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে কাতরা, সড়কি, রামদা, বল্লম, টেঁটা, ফলা ও চল।

যেসব গ্রাম থেকে অস্ত্র জব্দ করা হয়েছে সেগুলো হলো-নূরপুর, হরিপুর, নরহা, চিতনা, ধরমন্ডল, শংকরাদহ, গোকর্ণ, কুন্ডা, কুন্ডা জেলে পাড়া, শ্রীঘর, চাপরতলা, ভোলাউক, উরিয়াইন, আতুকুড়া, মুকবুলপুর ও পূর্বভাগ। এ ঘটনায় অস্ত্র আইনে তিনটি মামলায় ৮ জনকে আসামি করা হয়েছে।

হরিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের গ্রামে প্রায়ই তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষ হয়। পুলিশ আমাদের কাছে অস্ত্র উদ্ধারে সহযোগিতা চেয়েছে। আমরা গ্রামবাসীকে নিয়ে আলোচনা করে সব দেশীয় অস্ত্র পুলিশের হাতে জমা করে দিয়েছি।

ভলাকুট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. রুবেল মিয়া বলেন, শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে পুলিশের এ অস্ত্র উদ্ধার অভিযানকে আমরা স্বাগত জানাই। অভিযান সবসময় অব্যাহত থাকুক। অভিযান অব্যাহত থাকলে এলাকায় খুন-খারাবিসহ মারামারি কমে আসবে।

জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়া হোসেন বলেন, প্রতিটি উপজেলায় এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রাম্য এলাকায় যাতে মারামারি-দাঙ্গা সৃষ্টি না হয়, শান্তিশৃঙ্খলা যাতে অটুট থাকে সেজন্য এ অভিযান নিয়মিত চলবে। পাশাপাশি মাদক উদ্ধারেও তিনটি সীমান্তবর্তী উপজেলায় অভিযান চলছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৫ ঘণ্টা, মে ৭, ২০২৩
এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।