লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে স্ত্রী শারমিনের মরদেহ রেখে স্বামী মো. সুমন মিয়া পালিয়ে গেছেন।
রোববার (০৮ মে) দুপুরে পৌনে ১টার দিকে একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশাতে মরদেহ নিয়ে আসেন তিনি।
নিহত শারমিন ওরফে শরমি সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের চৌরাস্তা বাজার সংলগ্ন চর মনসা গ্রামের মো. তোফায়েলের মেয়ে। তার স্বামীর বাড়ি একই ইউনিয়নের সুটকির সাঁকো বাজার সংলগ্ন আমরি এলাকায়।
এদিকে শারমিনের পরিবারের অভিযোগ, স্বামী সুমন এবং শাশুড়ি খুকু মনি পারিবারিক কলহের জেরে শারমিনকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছেন। তিনি দুই মাসের গর্ভবতী ছিলেন বলে জানিয়েছেন পরিবারের লোকজন।
তবে পুলিশের দাবি, ওই নারী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
শারমিনের ভাই কান্নাজড়িত কণ্ঠে মো. হেলাল বলেন, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আমার ভগ্নিপতি সুমন একটি অটোরিকশায় করে শারমিনকে নিয়ে হাসপাতালে যান। এ সময় তিনি আমাকে জানান, আমার বোন অসুস্থ হয়ে গেছে, তাকে হাসপাতালে নিতে হবে। আমি হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই আমার বোন শারমিনকে রেখে সুমন হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান। হাসপাতালে গিয়ে আমি বোনকে মৃত দেখতে পাই। আমার বোনকে হত্যা করা হয়েছে।
হেলাল আরও বলেন, শারমিনের শ্বশুরবাড়ির লোকজন আমাকে জানান, সে গলায় ফাঁস দিয়েছে। কিন্তু আমার বোন গলায় ফাঁস দিতে পারে না। তাকে তার শ্বাশুড়ি ও স্বামী মিলে হত্যা করেছে। আমরা তাদের বিচার চাই।
তিনি জানান, প্রায় ৯ বছর আগে ওমান প্রবাসী সুমনের সঙ্গে তার ছোট বোন শরমির বিয়ে হয়। তাদের ঘরে উম্মে তায়বা নামে সাত বছরের এক মেয়ে আছে। শরমিনের শ্বশুরের মৃত্যুর পর শাশুড়ি খুকু মনি দ্বিতীয় বিয়ে করে স্বামী নিয়ে এ বাড়িতেই থাকতেন। শারমিনের স্বামী সুমন ওমানে থাকায় বাড়িতে শাশুড়ী খুকুমনি সব সময় তার বোনের সঙ্গে ঝগড়া করতেন। প্রায় তিনমাস আগে সুমন ছুটিতে বাড়িতে আসেন। তিনিও তার স্ত্রীর সঙ্গে পারিবারিক কলহ নিয়ে ঝগড়াঝাটি করতেন। এর জের ধরে বোনকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেন হেলাল।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মোসলেহ উদ্দিন বলেন, মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি, ওই নারী আম পাড়াকে কেন্দ্র করে গলায় ফাঁস দিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৮ ঘণ্টা, মে ০৮,২০২৩
এফআর