ঢাকা: রাজধানীর ডেমরায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ডাকাত সরদার উজ্জল হোসেন (৩৩) ও তার অন্যতম সহযোগী রাশেদকে (৩৭) গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-৩)।
সোমবার (০৮ মে) বিকেলে অভিযান চালিয়ে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে একটি বাড়ির সামনে থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ সময় তাদের কাছ থেকে ১টি বিদেশি পিস্তল, ১টি বিদেশি রিভলবার, ৩টি ককটেল, ১টি ম্যাগাজিন, ২ রাউন্ড গুলি, ৬ রাউন্ড কার্তুজ, ১টি গুলির খালি খোসা, ১টি সুইচ গিয়ার, ১টি চাপাতি ও ডাকাতির অন্যান্য সরঞ্জাম জব্দ করা হয়।
মঙ্গলবার (০৯ মে) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ানবাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান র্যাব-৩ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ।
গ্রেপ্তারদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে তিনি বলেন, ডাকাত দলের সর্দার উজ্জল হোসেনের নেতৃত্বে তারা রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে লুটপাট, অপহরণ, মুক্তিপণ আদায়, মাদক ব্যবসাসহ অন্যান্য অপরাধ কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল। তারা গত ৫ মাসে নারায়ণগঞ্জসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ৭টি ডাকাতি করেছে। এছাড়া আরো ৮-১০টি বড় ধরনের ডাকাতির চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়েছে।
তারা প্রথমে ডাকাতির জন্য বিভিন্ন এলাকায় শ্রমিকের কাজের পাশাপাশি রেকি করত। উজ্জল তার দলের অন্যান্যদের নিয়ে বিভিন্ন এলাকায় শ্রমিকের ছদ্মবেশে ঘুরে বেড়াত। বিভিন্ন বাড়ি টার্গেট করে সুযোগবুঝে আগ্নেয়াস্ত্রসহ হামলা চালিয়ে ডাকাতি করতো।
তারা ডেমরা এলাকায় সম্প্রতি তারা একটি ৪ তলা বাড়িকে টার্গেট করে। তারা বেশ কয়েকবার বাড়িটির ডিস সংযোগের তার কেটে দেয় এবং বাসায় নক করে ডিসের মেকানিক পরিচয়ে ডিস সংযোগ ঠিক করার নামে বাসাটি রেকি করে। সোমবার বিকেলে উজ্জলের নেতৃত্বে আরও ৪ জন ওই বাড়িতে প্রবেশকালে ২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, উজ্জল সাধারণত ব্যানার, বিলবোর্ড ইত্যাদি তৈরির ডিজিটাল প্রিন্টিং প্রেসের দোকানে কাজ করে ও রাশেদ রঙ মিস্ত্রির কাজ করে। কাজের ছদ্মবেশে ডাকাতির জন্য টার্গেট স্থান রেকি ও ডাকাতি শেষে স্থান পরিবর্তন করতো।
ডাকাতির প্রস্তুতি নেওয়ার সময় ২ জনকে গ্রেপ্তার করা গেলও আরো ৩ সদস্য পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৬ ঘণ্টা, মে ০৯, ২০২৩
পিএম/ এসএম