ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

দেশে ৬৭ শতাংশ মৃত্যু হয় অসংক্রামক রোগ ও রোগের জটিলতায়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১১ ঘণ্টা, মে ৯, ২০২৩
দেশে ৬৭ শতাংশ মৃত্যু হয় অসংক্রামক রোগ ও রোগের জটিলতায়

বরিশাল: দেশে বর্তমানে প্রতি ১০০টি মৃত্যুর মধ্যে ৬৭ জনের মৃত্যু হয় বিভিন্ন অসংক্রামক রোগ ও রোগের জটিলতা থেকে।  

অসংক্রামক রোগসমূহের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপ ও উচ্চ রক্তচাপজনিত বিবিধ হৃদরোগ ও স্ট্রোক (পক্ষাঘাত) ও ডায়াবেটিকের কারণে সর্বাধিক মানুষের মৃত্যু হয়।

 

অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ ও চিকিৎসার জন্য সরকার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়ন্ত্রণাধীন স্বতন্ত্র “অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ লাইন ডিরেক্টরেট” প্রতিষ্ঠা করেছে।

মঙ্গলবার (৯ মে) বাংলাদেশে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ উদ্যোগ নিয়ে বরিশালে স্বাস্থসেবা দানকারীদের জন্য প্রশিক্ষণ কর্মশালায় এসব তথ্য তুলে ধরেন বক্তারা।

বরিশাল জেলার ৯টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপকসহ অন্যান্য সেবাদানকারীদের জন্য ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে ৭ মে থেকে ৯ মে পর্যন্ত তিন দিনব্যাপী এই প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

কর্মশালার উদ্বোধন করেন বরিশালের বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হুমায়ুন শাহীন খান।  

বাংলাদেশ হাইপারটেনশন কন্ট্রোল ইনিশিয়েটিভের ডেপুটি প্রোগ্রাম ডিরেক্টর ডা. মাহফুজুর রহমান ভূঁইয়া এবং প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. শামীম জুবাইয়েরের সঞ্চালনায় কর্মশালায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য উপ পরিচালক ডা. শ্যমল কৃষ্ণ মন্ডল, জেলা সিভিল সার্জন ডা. মারিয়া হাসান এবং ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের এপিডেমিওলজি ও রিসার্চ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও বাংলাদেশ হাইপারটেনশন কন্ট্রোল ইনিশিয়েটিভের প্রোগ্রাম ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. সোহেল রেজা চৌধুরী।

এসময় বক্তারা বলেন, সরকারি তথ্য অনুযায়ী শহর ও গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর মাঝে উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিকের প্রভাব প্রায় সমান হলেও, গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর মাঝে এ সংক্রান্ত সচেতনতা ও বিভিন্ন সেবা কেন্দ্র থেকে সেবা প্রাপ্তির সুবিধা অত্যন্ত সীমিত। এ বাস্তবতাকে মাথায় রেখে "অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ লাইন ডিরেক্টরেট” ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের সহযোগিতায় "বাংলাদেশ উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি"-শীর্ষক একটি প্রকল্প ২০১৯ সাল থেকে পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করে আসছে। এ প্রকল্পের আওতায় প্রতিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একটি অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ কক্ষ স্থাপন এবং উন্নত ও কার্যকর সেবা প্রদানের জন্য সর্বাধুনিক যন্ত্রপাতির মাধ্যমে উক্ত কক্ষ সজ্জিত করা।  সেবা কেন্দ্রে কর্মরত চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য সেবাদানকারীদের উন্নত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাকরণ ও সেবাকেন্দ্রে আগত রোগীদের ডিজিটাল পদ্ধতিতে রেজিস্ট্রেশন ও আধুনিক রিপোর্টিং পদ্ধতি চালুকরণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে।

এর মধ্যদিয়ে অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ ও পরিচর্যায় সরকারি প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রসমূহের সক্ষমতা বাড়িয়ে তোলা হচ্ছে বলেও জানান বক্তারা।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৬ ঘণ্টা, মে ৯, ২০২৩
এমএস/এনএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।