রংপুর: রংপুরের গঙ্গাচড়ায় রফিকুল ইসলাম নামের এক ইউপি সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ পরিচয়ে এক যুবককে হাতকড়া পড়িয়ে বাড়ি থেকে বের করে মারধর ও মুক্তিপণ দাবির ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার (৯ মে) সকালে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে সোমবার (৮ মে) বিকেলে আলমবিদিতর ইউনিয়নের সয়রাবাড়ী বাজার থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গঙ্গাচড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে জানান, ইউপি সদস্য রফিকুলকে গ্রেপ্তারের পর আজ সকালে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। এ নিয়ে ওই মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এর আগে ১৭ এপ্রিল রাতে পঞ্চগড় থেকে পুলিশ কনস্টেবল মাসুদ রানাকে (২৪) গ্রেপ্তার করা হয়। ওই পুলিশ সদস্য রংপুর রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্স থেকে প্রেষণে পঞ্চগড় পুলিশ লাইনে কর্মরত ছিলেন। এছাড়া শনিবার (৬ মে) রাতে পাবনা সদর উপজেলা এলাকা থেকে সুরুজ মিয়া (৩৫) নামের এক যুবকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
১০ এপ্রিল রাত ১টায় গঙ্গাচড়া উপজেলার আলমবিদিতর ইউনিয়নের চওড়াপাড়া গ্রামের নূর ইসলাম আপাছের বাড়িতে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে অজ্ঞাতপরিচয় সাত যুবক ঢুকে তার ছেলে সোনা মিয়াকে মারধর করে বাড়ি থেকে নিয়ে যায়। পরে সোনা মিয়ার প্রতিবেশী সুরুজ মিয়ার মাধ্যমে অপহরণকারীরা পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। খবর পেয়ে ওই রাতেই পার্শ্ববর্তী নোহালী ইউনিয়নের একটি চাতাল থেকে সোনা মিয়াকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন পরিবারের সদস্যরা। এ ঘটনায় ১০ এপ্রিল অজ্ঞাতপরিচয় অপহরণকারীদের বিরুদ্ধে গঙ্গাচড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন সোনা মিয়ার বাবা নূর ইসলাম।
বাংলাদেশ সময়: ২০২০ ঘণ্টা, মে ০৯, ২০২৩
এএটি