ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জুতাপেটা করার অভিযোগ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৩ ঘণ্টা, মে ১০, ২০২৩
৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জুতাপেটা করার অভিযোগ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে

মাদারীপুর: মাদারীপুর জেলার শিবচরে শিক্ষার্থীদের জুতা দিয়ে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে।

মঙ্গলবার (০৯ মে) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার বন্দরখোলা ইউনিয়নের রিয়াজউদ্দিন মাতুব্বর কান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।

শিক্ষির্থীদের অভিযোগ, স্কুল ছুটির আগেই পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা কেউ কেউ ক্লাশরুম থেকে বের হলে প্রধান শিক্ষক হাফিজুর রহমান নিজের পায়ের জুতা ছুড়ে মারেন। পরে শ্রেণিকক্ষে গিয়ে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে জুতা দিয়ে পিটুনি দেন।

এ ঘটনায় অভিভাবক ও এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। ভয়ে স্কুলে যেতে অনীহা প্রকাশ করছে অনেক শিক্ষার্থী।

জানা গেছে, মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে উপজেলার বন্দরখোলা ইউনিয়নের চরাঞ্চল এলাকার রিয়াজ উদ্দিন মাতুব্বর কান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা শ্রেণি কক্ষ ছেড়ে বাইরে বের হয়। তখন প্রধান শিক্ষক এক শিক্ষার্থীকে জুতা ছুড়ে মারেন এবং ধমক দেন। ভয়ে শিক্ষার্থীরা শ্রেণি কক্ষে ফিরে গেলে প্রধান শিক্ষক সেখানে গিয়ে জাহিদ আরিফ, ইয়াছিন, উসমান গনিসহ কমপক্ষে ২০-২২ জন শিক্ষার্থীকে জুতা দিয়ে পেটান।

মো. জাহিদ নামে পঞ্চম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী বলে, হেডস্যার প্রথমে জুতা ছুড়ে মারেন। পরে ক্লাসে গিয়ে প্রত্যেককে জুতা দিয়ে বাড়ি মারতে থাকেন।

চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী আল আমিন বলে, আমরা ছুটির জন্য নিচে গেছিলাম। তারপর ক্লাসে গেছি। এরপর দেখি হেড স্যার জুতা দিয়ে তাদের পেটাচ্ছে।

পঞ্চম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর ভাই সাইদুর রহমান বলেন, স্কুল ছুটির আগে এ ঘটনা ঘটে। আমার ছোট ভাই এই স্কুলেই পড়ে। বিকেলে বেশ কয়েকজন অভিভিবক এবং শিক্ষার্থীরা এ নিয়ে আলোচনা করেন। শিক্ষার্থীরা কাঁদতে কাঁদতে বাড়িতে এসে এ ঘটনা জানায়। এছাড়া প্রধান শিক্ষক অনেক বদমেজাজি।

স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আমিনুল ইসলাম গিয়াস মাতুব্বর জানান, বিষয়টি আমি জেনেছি। বাচ্চারা চেঁচামেচি করায় তিনি এমনটা করেছেন বলে জানা গেছে। আমরা এটা নিয়ে সবাই বসবো। এরকম কোনো কাজ যাতে ভবিষ্যতে না হয় তা নিয়ে আলোচনা করবো।

এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে প্রধান শিক্ষক হাফিজুর রহমান বলেন, আমার বিরুদ্ধে এলাকায় কিছু লোক মিথ্যা অভিযোগ ছড়িয়েছেন। আমি এ ঘটনা ঘটাইনি। বিষয়টি নিয়ে স্কুলের সভাপতিকে সঙ্গে নিয়ে অভিভাবকদের সঙ্গে বসবো।

শিবচর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মুন্সী রুহুল আসলাম বলেন, বিষয়টি শুনেছি। তবে কেউ অভিযোগ করেননি। সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩২ ঘণ্টা, মে ১০, ২০২৩
এফআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।