মৌলভীবাজার: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনে পৌরসভা কর্তৃক ময়লা-আবর্জনা ফেলা বন্ধ ও ময়লার ভাগাড় অপসারণের দাবিতে শ্রীমঙ্গলের কলেজ রোডে এক ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে কলেজের শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (১১ মে) শহরের কলেজ রোডে ঘণ্টাব্যাপী চল স্বতঃস্ফূর্ত এ আন্দোলনে এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী অংশগ্রহণ করে।
ময়লার ভাগাড় থেকে অসহনীয় দুর্গন্ধ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছড়িয়ে পড়ার কারণে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় মারাত্মকভাবে ব্যাঘাত ঘটছে। এ দুর্ভোগ থেকে শিক্ষার্থীদের রক্ষা করতে দ্রুত এ ময়লার ভাগাড়টি অপসারণের উদ্যোগ নিতে প্রশাসনসহ এলাকার জনপ্রতিনিধির প্রতি জোর দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের মধ্যে বক্তব্য দেন ইতিহাস (সম্মান) ১ম বর্ষের ছাত্র নূরুল আমিন, দ্বাদশ (মানবিক) এর উম্মে নাফিসা মায়মুনা, দীপ্ত পাল, শাহেদ রানা ও আজহারুল ইসলাম ফাহিম প্রমুখ।
শ্রীমঙ্গল পৌরসভার মেয়র মো. মহসীন মিয়া মধু বলেন, ময়লার ভাগাড় স্থানান্তরের জন্য দীর্ঘদিন আগে সরকারের সহযোগিতায় পৌরসভা কর্তৃক বিশাল প্রকল্প হাতে নিয়েছি। কিন্তু প্রকল্প চলমান অবস্থায় নির্মাণকাজ বন্ধ করে এবং নির্মাণসামগ্রী পরিবহনে বাধা সৃষ্টি করে এক অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি করা হয়েছে।
এছাড়া চলমান এ প্রকল্পের বিরুদ্ধে আদালতে রিট করে কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও এলাকার সংসদ সদস্যও অবগত রয়েছেন। আমি আশা করব সরকার দ্রুত এ মামলা অবসানে উদ্যোগী হবে। সৃষ্ট জটিলতা নিরসন হলেই প্রকল্পের কাজ দ্রুত শুরু হবে বলে জানান তিনি।
শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আলী রাজিব মাহমুদ মিঠুন বলেন, আসলে বিষয়টি খুবই স্পর্শকাতর। আমাকে সব সময় পীড়া দেয়। আমি এখানে আসার পর বিষয়টি অবগত হয়ে কাজ করে যাচ্ছি। আজ এমপির সঙ্গে আলাপ হয়েছে। আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবগত করেছি। নবাগত জেলা প্রশাসককেও বিষয়টি অবগত করেছি। স্যার ঢাকা থেকে এলেই আলাপ করবো, যাতে দ্রুত বিষয়টি সমাধানে প্রদক্ষেপ গ্রহণ করা যায়। এছাড়া স্থানীয় জনসাধারণের সদিচ্ছা ও সহযোগিতা আমরা চাই। আশাকরি সবাই মিলে খুব দ্রুতই বিষয়টি সমাধানের পথে আমরা এগিয়ে যাব।
উল্লেখ্য, প্রায় দুই দশকের এ গণদাবির প্রতি এলাকার প্রায় সাতটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও সচেতন ছাত্র ও যুবসমাজ এবং গণ্যমান্য ব্যক্তিরা একাত্মতা প্রকাশ করে আন্দোলন করে গেলেও কর্তৃপক্ষের কার্যত কোনো পদক্ষেপই দৃশ্যত হচ্ছে না। ফলে শিক্ষার্থীরা প্রতিনিয়তই সীমাহীন দুর্ভোগের স্বীকার হচ্ছে। ময়লা-আবর্জনার দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ায় কোমলমতি শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন রোগ বালাইয়ে প্রতিনিয়ত আক্রান্ত হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১১১ ঘণ্টা, মে ১২, ২০২৩
বিবিবি/আরবি