বাগেরহাট: ঘূর্ণিঝড় মোখা নিয়ে উপকূলবাসী আতঙ্কিত হলেও, এর কোনো প্রভাব নেই বাগেরহাটে। শুক্রবার (১২ মে) সকাল থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত জেলায় প্রচণ্ড গরম অনুভূত হয়েছে।
জেলার কোথাও এখন পর্যন্ত বৃষ্টি বা ঝড়ো হাওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। পশুর, বলেশ্বর, ভৈরবসহ জেলার বেশিরভাগ নদ-নদীও স্বাভাবিক। ঘূর্ণিঝড় মোখার জন্য জারি করা আগাম সতর্কতা সংকেতও মানুষের জীবন যাত্রায়ও প্রভাব ফেলতে পারেনি।
বাগেরহাট শহরের বাসিন্দারা বলছেন, মোখার খবর শোনার পর তারা আতঙ্কিত ছিলেন। কিন্তু সকালে থেকে আবহাওয়া স্বাভাবিক। প্রচণ্ড গরম হলেও সাধারণভাবেই তারা দিন পার করছেন।
শরণখোলা উপজেলার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, তাদের এলাকার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া বলেশ্বর ও ভোলা নদী স্বাভাবিক রয়েছে। আবহাওয়াও ভালো। আকাশে কোন মেঘ নেই। তবে রাতে ঝড়ের আঘাতের শঙ্কায় রয়েছেন তারা।
সুন্দরবনের করমজল বন্য প্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ কবির বলেছেন, সকাল থেকে সুন্দরবনের আবহাওয়া স্বাভাবিক। এখনও কোনো শঙ্কা সৃষ্টি হয়নি।
আবহাওয়া স্বাভাবিক থাকলেও মোখা মোকাবিলায় সব ধরণের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসকের নির্দেশে ৪৪৬টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সেই সাথে পর্যাপ্ত শুকনো খাবার, নগদ অর্থ ও প্রয়োজনীয় স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রয়েছে।
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আজিজুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় জেলার সব সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে। জেলা সদর ও প্রতিটি উপজেলায় একটি করে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। ৯ উপজেলায় ৮৪টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত। রেড ক্রিসেন্ট, ফায়ার সার্ভিস ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার কয়েকশ স্বেচ্ছাসেবককে প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এরপরেও আমরা চাই বাগেরহাটে ঝড়ের বড় ধরণের কোনো প্রভাব না পড়ুক।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড় মোখা মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছেন। বাগেরহাটের মোংলা বন্দর থেকে এর দূরত্ব ৯৬৫ কিলোমিটার। এর ফলে মোংলা, পায়রা ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে চার নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, মে ১২, ২০২৩
এমজে