ঢাকা: ঘূর্ণিঝড় মোখার ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় সবাইকে সতর্ক ও সাবধান করছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স।
এছাড়া মোখার আঘাতে ও জলোচ্ছ্বাসে ঘরবাড়ি ভেঙে বা ডুবে গেলে আশ্রয়কেন্দ্রের পাশাপাশি স্থানীয় ফায়ার সার্ভিস স্টেশনগুলোতেও আশ্রয় নেওয়া যাবে।
শনিবার (১৩ মে) রাতে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখার মোকাবিলায় ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা কয়েকদিন ধরে কাজ করে যাচ্ছে। যেটা এখনো অব্যাহত আছে। এছাড়া আশ্রয়কেন্দ্রের পাশাপাশি ঘূর্ণিঝড় মোখার আঘাতে বাড়িঘর ডুবে গেলে অথবা যে কোন কারণে যে কোনো মানুষ স্থানীয় ফায়ার সার্ভিস স্টেশনগুলোতে আশ্রয় নিতে পারবে।
মোখা মোকাবিলায় উপকূলীয় এলাকাসমূহের ১৯ টি জেলার ১৪৯টি ফায়ার স্টেশনের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানান ডিজি।
তিনি আরও জানান, উপকূলবর্তী দুর্যোগপ্রবণ এলাকার জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রতি ফায়ার স্টেশনে ৮ জনের সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ টিম, ৫ জনের প্রাথমিক চিকিৎসক দল এবং ৬ জনের একটি করে ওয়াটার রেসকিউ টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রয়োজনীয় সংখ্যক অগ্নিনির্বাপণ ও উদ্ধার সরঞ্জামসহ অ্যাম্বুলেন্স, জেমিনি বোট, চেইন স, হ্যান্ড স, রোটারি রেসকিউ স, স্প্রেডার, মেগাফোন, র্যামজ্যাক বা এয়ার লিফটিং ব্যাগ, ফাস্ট এইড বক্স ইত্যাদি প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের আগে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স জনগণকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিতে, সতর্কতামূলক মাইকিংয়ে নিয়োজিত থাকবে। এছাড়া ঘূর্ণিঝড়-পরবর্তী অনুসন্ধান ও উদ্ধারকাজসহ রাস্তাঘাট যান চলাচল উপযোগী করার কাজে ফায়ার সার্ভিস নিয়োজিত থাকবে।
বাংলাদেশ সময়: ২২১৫ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০২৩
এজেডএস/এসএএইচ