চাঁদপুর: ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে চাঁদপুরের মেঘনা উপকূলীয় এলাকায়। একই সঙ্গে উত্তাল হয়ে উঠেছে পদ্মা ও মেঘনা।
রোববার (১৪ মে) ভোর থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত আকাশ মেঘাচ্ছন্ন। পদ্মা-মেঘনা নদীর পানি স্বাভাবিক জোয়ারের চাইতে কিছুটা বেড়েছে। গতিবেগ পরিবর্তন করে বাতাসও বেড়েছে। মেঘনা নদীর মোহনা এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে নদী উত্তাল হওয়ায় নৌযানের সংখ্যা কম।
সদর উপজেলার রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হজরত আলী বেপারী বাংলানিউজকে বলেন, সদরে সবচাইতে ঝুঁকিপূর্ণ চরাঞ্চল হচ্ছে রাজরাজেশ্বর। আজ সকাল থেকেই তিনি রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সদস্যদের নিয়ে চরাঞ্চলের লোকদের সতর্ক করে দিয়েছেন এবং মাইকিং করেছেন। জেলে ও চরাঞ্চলের লোকদের নিরাপদ আশ্রয় থাকার জন্য অনুরোধ করা হয়।
চাঁদপুর শহর রক্ষাবাঁধ থেকে শুরু করে হাইমচর উপজেলার চরভৈরবী পর্যন্ত সবচাইতে নীচু এলাকা হচ্ছে সদর উপজেলার হানাচর ইউনিয়ন। সেখানে সকাল থেকেই পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলীরা নদী তীর পর্যবেক্ষণে রেখেছেন।
হানারচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছাত্তার রাড়ী বাংলানিউজকে বলেন, শনিবার (১৩ মে) বিকেলেই নদীর পাড় ও বেড়িবাঁধ সংলগ্ন প্রায় ৫শতাধিক লোক হরিণা চালতাতলী এডওয়ার্ড স্কুল সংলগ্ন সাইক্লোন সেন্টারে আশ্রয় নিয়েছে। তাদের খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে। তারা নিরাপদে আছে। গতকাল বিকেলে এবং আজ সকালে জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান, নৌ পুলিশের এসপি মো. কামরুজ্জামান একাধিকবার আশ্রয় কেন্দ্রের লোকদের সঙ্গে কথা বলেছেন।
চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব কিছুটা পড়েছে, তবে খুব বেশি না। পানি স্বাভাবিক জোয়ারের চাইতে কিছুটা বেড়েছে। আমাদের লোকজন উপকূলের বাঁধ এলাকা পর্যবেক্ষণে আছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৭ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০২৩
আরএ