বরিশাল: বরিশালের কীর্তনখোলা নদী থেকে কালাচাঁন কুমার ঘোষ (৫০) নামের এক ইলেকট্রিশিয়ানের মরদেহ উদ্ধার করেছে নৌ-পুলিশ।
রোববার (১৪ মে) সকালে বরিশাল নগরের চাঁদমারী খেয়াঘাট সংলগ্ন নদীর তীর থেকে ভাসমান অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
মৃত কালাচাঁনের ছেলে ভাই সঞ্জয় কুমার ঘোষ বাংলানিউজকে জানান, শনিবার (১৩ মে) সকাল ১১টার দিকে কালাচাঁন কাজে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর রাত সাড়ে ১১টার দিকে চাঁদমারী এলাকার বালু ব্যবসায়ী নাছির ভাই সঞ্জয়ের কাকিমা নিপার কাছে ফোন দেন এবং জানান কালাচাঁন মোবাইলফোন রেখে গেছেন তার কাছে, এরপর আর আসেননি, কেউ যেন গিয়ে সেটি নিয়ে আসেন।
তিনি বলেন, এরপর রাতে গিয়ে আমরা মোবাইল ফোনটি নিয়ে আসি এবং কালাচাঁনের জন্য অপেক্ষা করি। তবে সকাল অব্দি ফিরে না আসায় কোতোয়ালি মডেল থানা, আদালত ও হাসপাতালে অনুসন্ধান চালিয়েও তার খোঁজ পাইনি। পরে নৌ-পুলিশ আমাদের ফোন দিয়ে থানায় যেতে বলেন। তখন সেখানে গিয়ে জানতে পারি কালাচাঁনের মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি।
মৃত কালাচাঁনের একমাত্র সন্তান অন্তু ঘোষ জানান, কারো সাথে বিরোধের তেমন কোনো বিষয় জানা নেই। তবে বালু ব্যবসায়ী নাছির কাকার ওখানে যাওয়া-আসা ছিল আমার বাবার।
মৃতের ভাই ব্যবসায়ী অশোক ঘোষ জানান, তার ভাই ইলেকট্রনিক্স মিস্ত্রি। এক সন্তানের জনক তিনি। শনিবার রাত আটটার পর থেকে তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। রোববার সকালে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধারের খবর জানিয়েছে।
অশোকের দাবি, যেখান থেকে ভাইয়ের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সেখানে তার যাওয়ার কথা নয়। ভাইয়ের মৃত্যু স্বাভাবিক নয়, হত্যাকাণ্ড বলে ধারণা করছেন তিনি।
এদিকে সুরতহালে উদ্ধার হওয়ার মরদেহের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন বরিশাল সদর নৌ-থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আলাউদ্দিন আল মাসুম। তবে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে এলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে বলে জানিয়েছেন বরিশাল সদর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল জলিল।
তিনি বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ সকালেই বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া উদ্ধারের সময় মৃতের পরিচয় জানা না গেলেও পরে স্বজনরা শনাক্ত করেছেন।
ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারকে বুঝিয়ে দেওয়া হবে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৪ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০২৩
এমএস/এএটি