ঢাকা: মাকে নিয়ে লেখা হয়েছে শত-সহস্র কবিতা, গান। মা সন্তানের জন্য নিজেকে সম্পূর্ণ বিলিয়ে দেন।
এ বিষয়ে স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী ইরতিজা জান্নাত মীম বলেন, মা শব্দটি অতি ছোট্ট কিন্তু এর গভীরতা অনেক। মা মানে আদর, মা মানে শান্তি, মা মানে ছায়া। মায়ের স্পর্শেই সন্তান ধীরে ধীরে বড় হয়ে ওঠে। আমি যেদিন প্রথম মা বলে ডেকেছিলাম সেদিন আমার মায়ের খুশির অন্ত ছিল না। মায়ের হাত ধরে গুটি গুটি পায়ে বেড়ে উঠেছি ঠিকই কিন্তু বড় হয়ে উঠতে পারিনি। তাই আজও আমার চলার পথে মায়ের ছত্রছায়া খুব প্রয়োজন।
তিনি বলেন, সবার মা-ই সবার কাছে শ্রেষ্ঠ মা। তেমনি আমার মা ও আমার কাছে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মা। প্রথম দিন থেকে জীবনের শেষ পর্যন্ত সন্তানের প্রতি মায়ের ভালোবাসার কোনো পরিবর্তন হয় না। মা তাই সবার কাছে অতুলনীয়, অনন্য। মা আমার বেঁচে থাকার অক্সিজেন, পুরো পৃথিবী। আমি সত্যিই আমার মাকে অনেক ভালোবাসি। তাইতো অকপটে বলতে পারি- তোমায় ভালোবাসি মা।
‘জীবনের উত্থান-পতনে ঢাল হিসেবে সব সময় পাশে থাকে মা’, উল্লেখ করেন তরুণ উদ্যোক্তা নওশীন তাবাসসুম মুন। তিনি বলেন, জীবনের সব ঝড়ের আশ্রয়কেন্দ্র হলো মা। জীবনের উত্থান-পতন আছে, আর এ মা-ই তখন পাশে থাকে ঢাল হিসেবে। সব সম্পর্কে লাভ-ক্ষতির হিসাব করা হয়, শুধুমাত্র মা সম্পর্কের কোনো হিসাব হয় না।
মায়ের ভালোবাসার মর্যাদা দিতেই সব সন্তানকে সুপ্রতিষ্ঠিত হতে হবে উল্লেখ করে এ তরুণী বলেন, মা যার আছে তার কাছে পৃথিবীটা রঙিন। আমি যখন আমার মায়ের মুখের হাসি দেখি তখন আমার পৃথিবীজুড়ে শান্তিময় পরিবেশ সৃষ্টি হয়। মায়ের কষ্টের প্রতিদান কেউ পূরণ করতে পারে না, তবুও মার কাছে তার সন্তান সর্বশ্রেষ্ঠ। সব মা তার সন্তানকে ভালোবাসে, আর এ ভালোবাসার মর্যাদা দিতেই আমাদের। অর্থাৎ সব সন্তানকে সুনাগরিক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে হবে, ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে হবে।
আর মায়ের মুখ যেন ‘পৃথিবীর সেরা মুখ, সেরা সৌন্দর্যময়ী মানুষ’ বলে মনে করেন রবীন্দ্র মৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা লেখক ও গবেষক ইমাম মেহেদী।
তিনি বলেন, মায়ের সঙ্গে ঝগড়া করে, যুদ্ধ করে জীবনে যতবার জয়ী হয়েছি, পৃথিবীতে আর কারও কাছে তা অসম্ভব। কারণ মা হলো সর্বজয়া এক মানুষ। তিনি সন্তানের কাছে হেরে যান খুশি মনে। পৃথিবীতে মা ছাড়া সন্তানের এত অভিযোগ সহ্য করার মতো দ্বিতীয় আর কোনো মানু্ষ নেই!
ইমাম মেহেদী বলেন, মায়ের মুখের দিকে তাকালেই সমস্ত ক্লান্তি ভুলে যাই। আজ মাথার ওপরে মা আছেন তাই নিশ্চিন্তে থাকি। মায়েরা ভালো থাককু এটাই প্রত্যাশা।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৩ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০২৩
এইচএমএস/আরবি