বরিশাল: বরিশাল নদী বন্দরে পল্টুন থেকে কীর্তনখোলা নদীতে পরে নিখোঁজ হওয়ার দুদিন পর সাথী আক্তার নামে এক কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
শনিবার (২০ মে) সকালে বরিশাল নদী বন্দরের অভ্যন্তরীন রুটের লঞ্চ টার্মিনালের পল্টুন সংলগ্ন নদী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
সাথী আক্তার ভোলা সদরের গুচ্ছগ্রাম এলাকার বশিরের মিয়ার মেয়ে।
ঘাটের পথশিশু ও শ্রমিকরা জানিয়েছেন, সাথী ঢাকায় থাকতো, সেখান থেকে বরিশাল নদী বন্দর এলাকায় ভাসমান মানুষদের সঙ্গে বেশ কিছুদিন ধরে ছিল।
বরিশাল নদী ফায়ার স্টেশনের স্টেশন অফিসার মো. এনামুল হক সুমন বাংলানিউজকে বলেন, বৃহষ্পতিবার (১৮ মে) বিকেল সোয়া ৫টার দিকে সাথী নদীতে পড়ে যায়, পরে বিষয়টি আমরা জানতে পেরে ৬টার দিকে নদীতে উদ্ধার অভিযান শুরু করি।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, সাথী ও আরও একটি পথ শিশু (ছেলে) নদীতে গোসল করার সময় তীব্র স্রোতের মুখে পরে। নাঈম নামের অপর শিশুটি পল্টুনের নীচে চলে যেতে থাকলেও সে নিজেকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়, তবে সাথী নিখোঁজ হয়।
এদিকে বরিশাল সদর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ. জলিল জানান, পল্টুনে থাকা লোকদের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরে তাৎক্ষনিক ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হয়। তারা ঘটনাস্থলে এসে উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে।
যদিও ঘটনার সয়ম সেখানে থাকা পথশিশু চাঁদনী জানান, পল্টুনের পাশে আসলাম, জনিসহ অনেকেই বসা ছিলাম। হঠাৎ করে পেছন থেকে নাঈম এসে আসলাম ও সাথীকে ধাক্কা দেয়। ওই সময় আসলাম সাঁতরে তীরে উঠলেও সাথী সাঁতার না জানায় ডুবে যায়। তবে সঙ্গে সঙ্গে আমরা নদীতে ঝাপ দিয়ে সাথীকে উদ্ধারের চেষ্টা করি কিন্তু তা তাকে পাইনি।
এদিকে তার মরদেহের ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বরিশাল সদর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ. জলিল।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৭ ঘণ্টা, মে ২০, ২০২৩
এমএস/ এসএম