ঢাকা: ঘূর্ণিঝড় মোখার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থী ও স্বাগতিক সম্প্রদায়ের জন্য অতিরিক্ত ২.৩ মিলিয়ন পাউন্ড (৩০ কোটি টাকার বেশি) মানবিক সহায়তা দেবে যুক্তরাজ্য।
রোববার (২১ মে) ঢাকার ব্রিটিশ হাইকমিশন এ তথ্য জানিয়েছে।
বাংলাদেশে ভারপ্রাপ্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার ম্যাট ক্যানেল ঘূর্ণিঝড় মোখার পর কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির ও স্বাগতিক সম্প্রদায় পরিদর্শনের সময় এ অতিরিক্ত অর্থায়নের ঘোষণা দেন। যুক্তরাজ্যের এ সহায়তা আইওএম’র মাধ্যমে ব্যয় করা হবে।
ভারপ্রাপ্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার ম্যাট ক্যানেল বলেছেন, যুক্তরাজ্য রোহিঙ্গা ও স্বাগতিক সম্প্রদায়ের পাশে দাঁড়িয়েছে কারণ তারা ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাব থেকে পুনরুদ্ধার করতে চায়। আমি ২.৩ মিলিয়ন পাউন্ডের এ নতুন যুক্তরাজ্যের সহায়তা ঘোষণা করতে পেরে গর্বিত, যা সাম্প্রতিক ট্র্যাজেডির পাশাপাশি ক্যাম্পে এবং স্বাগতিক সম্প্রদায়ের চলমান চাহিদাগুলো পূরণে সাহায্য করবে। যুক্তরাজ্য এ সংকটের একটি টেকসই সমাধান খুঁজতে বাংলাদেশ সরকারকে সহায়তা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ও গুরুত্বপূর্ণ মানবিক সহায়তা দিচ্ছে।
আইওএম বাংলাদেশ মিশন প্রধান আবদুসাত্তর এসয়েভ বলেছেন, এ সহায়তা এমন একটি সংকটময় সময়ে এসেছে যখন রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং কক্সবাজারে স্বাগতিক সম্প্রদায় সাম্প্রতিক দুর্যোগ, ধ্বংসাত্মক অগ্নিকাণ্ড ও ঘূর্ণিঝড় মোখার পরে ব্যাপক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি।
যুক্তরাজ্যের সহায়তায় আমরা অত্যাবশ্যকীয় স্বাস্থ্যসেবা, আশ্রয়, সাইট ম্যানেজমেন্ট সহায়তা এবং ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য সুরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করতে সক্ষম হবো। আইওএম ও যুক্তরাজ্য সরকারের মধ্যে অংশীদারিত্ব রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে। আমরা মানবিক সহায়তা দিয়ে অভাবী লোকদের সমর্থন করার জন্য আমাদের প্রতিশ্রুতিতে অবিচল রয়েছি।
২০১৭ সালে যুক্তরাজ্য বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থী ও স্বাগতিক সম্প্রদায়ের জন্য ৩৫২ মিলিয়ন মানবিক সহায়তা দিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০১ ঘণ্টা, মে ২১, ২০২৩
টিআর/আরবি