ঢাকা: দ্য ইন্টারন্যাশনাল একাডেমি অব সুফি স্কলারস অব গ্রেটবিটেনের আয়োজনে ১৮ মে-২০ মে পর্যন্ত তিন দিনব্যাপী ১০ম ইন্টারন্যাশনাল সূফিজম কনফারেন্স মরক্কোর ঐতিহাসিক শহর গুয়েলমেমি ইউনিভারসিটি অব মুহাম্মদ আল আউয়ালে অনুষ্ঠিত হয়েছে। কনফারেন্সে বিশেষ অতিথি হিসেবে যোগদান করেন বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি ও লিভারেল ইসলামিক জোটের সম্মানিত চেয়ারম্যান মাইজভাণ্ডার দরবার শরিফের ইমাম শাহসুফি শাহজাদা সাইয়্যিদ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী মাইজভাণ্ডারী।
সম্মেলনের আলোচনায় মূল বিষয় ছিল আধুনিক সমাজ নির্মাণে সুফি তরিকার প্রভাব এবং নিজ দেশকে সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে নিতে সুফিদের করণীয়। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মাইজভাণ্ডারী বলেন, দেশের টেকসই উন্নয়নের পূর্বশর্ত হলো রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, সুশাসন, মানবঅধিকা, ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিত করা। ইসলামিক মূল নির্যাস সুফিবাদ মানুষের আত্মোন্নয়নে প্রেম ভালোবাসা ও সহাবস্থানের মাধ্যমে সৃষ্টির কল্যাণ নিশ্চিত করে। পরমত সহষ্ণিু, জোরজবরদস্তি না করা, নির্লোভ, নিরঅহংকার, সাদাসিদে, জীবনযাপনই একজন সুফির বৈশিষ্ট্য। সমাজ ও দেশে অকল্যাণের বৈষম্য ও অশুভ প্রতিযোগিতা না থাকলে দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, সুশাসন, মানবঅধিকার ও ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিত হবে। আর একমাত্র সুফিবাদই তা নিশ্চিত করতে পারে।
সম্মেলনে শাহজাদা সাইয়্যিদ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারী রচিত ‘দ্য এসেন্স অফ তাসাউফ’ গ্রন্থ ও আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা এবং বিশ্বব্যাপী শান্তির পক্ষে কাজ করায় যুক্তরাজ্যের ইন্টারন্যাশনাল একাডেমি অব সুফি স্কলারস তাকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করে। সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদানের পর একাডেমির শীর্ষ স্কলার গবেষকরা তাকে অভিনন্দন জানান।
শাহজাদা সাইয়্যিদ সাইফুদ্দীন আহমদ তার রচিত গ্রন্থে কাদরিয়া মাইজভাণ্ডারীয়া তরিকার মানব কল্যাণের দর্শন, একজন মানুষের মহামহিম সর্বশক্তিমান আল্লাহর পথে যাত্রা, আধ্যাত্মিক পথের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত নানাদিক ও তাসাউফের ঐশ্বর্য অর্জনের জন্য একজন প্রকৃত সুফি শায়খের সান্নিধ্যে গমনের গুরুত্ব অত্যন্ত সফলতার সাথে সহজভাবে উপস্থাপন করেছেন।
সম্মেলনে হুজুর কেবলার সফরসঙ্গী ছিলেন মইনীয়া যুব ফোরামের নির্বাহী সভাপতি শাহজাদা সাইয়্যিদ মাশুক-এ-মইনুদ্দীন মাইজভাণ্ডারী। আগামী ২৭ মে বিকাল ৫টায় তিনি দশ দিনের সফর শেষ করে দেশে ফিরবেন বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫১ ঘণ্টা, মে ২২, ২০২৩
এমজেএফ