ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

মশা নিধনে দক্ষিণ সিটিতে ১৫ জুলাই থেকে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১১ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০২৩
মশা নিধনে দক্ষিণ সিটিতে ১৫ জুলাই থেকে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু  ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধবিষয়ক কেন্দ্রীয় মতবিনিময় সভায় মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস

ঢাকা: ডেঙ্গুর প্রকোপ আর যেন না বাড়ে, সেজন্য সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।  

মঙ্গলবার (২৩ মে) নগর ভবনে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধবিষয়ক কেন্দ্রীয় মতবিনিময় সভায় এ আহ্বান জানান তিনি।

 

মেয়র বলেন, যে সময়টা আসছে, সেই সময়ে ডেঙ্গুর প্রকোপ বৃদ্ধি পায়। তবে আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আগের তুলনায় এখন এই সমস্যা অনেক কম। তবুও আমাদের আরও সতর্ক থাকতে হবে। এজন্য আমাদের সবার সম্মিলিত উদ্যোগ প্রয়োজন।

তিনি বলেন, আগামী ১৫ জুলাই থেকে সিটি করপোরেশনে মশক নিধনে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু হবে। এর মাধ্যমে শহরজুড়ে মশা নিধন কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।  

মেয়র তাপস বলেন, বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী এবারের ডেঙ্গুর প্রকোপ গত বছরের তুলনায় বেশি হতে পারে। তাই বিস্তৃত কর্মপরিকল্পনা নিয়েছি। আশ্বিন মাস পর্যন্ত কার্যক্রম চলবে। নিজস্ব ম্যাজিস্ট্রেট মাত্র দুইজন। এজন্য অতিরিক্ত দশজন ম্যাজিস্ট্রেট চেয়েছি। সেক্ষেত্রে দশটি অঞ্চলে একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে অভিযান পরিচালনা করা হবে। মশার উৎস ধ্বংস করাই উদ্দেশ্য।  

তিনি বলেন, এবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর দিকে বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে। অন্যান্য সংস্থার প্রতি আহ্বান, তারা যেন নিজ নিজ অফিস আদালত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখেন। যদি পরিষ্কার করতে নাও পারেন, তথ্য দিলে আমাদের পরিচ্ছন্নতা কর্মী গিয়ে পরিষ্কার করে লার্ভিসাইডিং করে আসবে। কিন্তু সেটি আপনাদের দেখভাল করতে হবে যেন পুনরায় মশা না হতে পারে। তারপরও যদি রাজধানীবাসী বাসাবাড়ি পরিষ্কার না রাখে, তবে জরিমানা করা হবে।

এ সময় মশা নিধনে সরাসরি তথ্য দিতে নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের আহ্বান জানান তিনি।

মেয়র বলেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো প্রতিরোধ। এডিস মশার লার্ভা তৈরি হয় এমন উৎস যত কম হবে তত ডেঙ্গু কমবে। ডেঙ্গু এখন সারা বছরের রোগ। এ জন্য সবাইকে সচেতন হতে হবে, যাতে তাদের আশপাশে পানি জমে না থাকে।

নির্মাণাধীন ভবনগুলোর ক্ষেত্রে রিহ্যাবের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন মেয়র।

তাপস বলেন, সিটি করপোরেশন তার দায়িত্ব সম্পর্কে যথাযথভাবেই ওয়াকিবহাল। আমরা আমাদের দায়িত্ব পরিপূর্ণভাবে পালন করতে চাই। সেক্ষেত্রে সবার সহযোগিতা কামনা করছি। অনেক সময় আমরা কোথাও অভিযান পরিচালনা করতে গেলে সহযোগিতার বিপরীতে বিরূপ প্রতিক্রিয়া পাই, যা কাম্য নয়।

এর আগে বক্তব্য রাখেন সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবির। এ সময় তিনি সিটি করপোরেশনের নানা কার্যক্রম ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলেন।

তিনি বলেন, ডেঙ্গু বর্তমানে শুধু বাংলাদেশের সমস্যা না। বিশ্বের অর্ধেক জনগোষ্ঠী আজ ডেঙ্গুর ঝুঁকিতে রয়েছে। বিগত কয়েক বছরে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ডেঙ্গু রোগীর হার কমাতে সক্ষম হয়েছে।

এ ছাড়া ডেঙ্গু প্রতিরোধী কার্যক্রম আরও বেগবান করতে প্রাইমারি স্কুল থেকে শুরু করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে নজর দেওয়া হবে। আর শহরের কোথাও এক সপ্তাহের মধ্যে কীটনাশক ওষুধ ছিটানো না হলে ইমামদের কাউন্সিলর অফিসে যোগাযোগের জন্যও আহবান জানানো হয় সভা থেকে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৫ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০২৩
এইচএমএস/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।