সাভার (ঢাকা): ঢাকার ধামরাইয়ে এক কিশোরকে অপহরণ ও হত্যা মামলার যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে ১২ বছর পর সাভার থেকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-৪।
শুক্রবার (২৬ মে) সকালে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে র্যাব-৪।
বুধবার (২৫ মে) রাতে সাভারের উলাইল এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
আটক জিন্নাত আলী (৩৮) ঢাকার ধামরাইয়ের বাসিন্দা।
র্যাব জানায়, ২০০৯-১০ সালের দিকে আসামি জিন্নাত আলীর নেতৃত্বে একটি চক্র ধামরাইয়ের বিভিন্ন এলাকায় চাঁদাবাজি, ছিনতাই, অপহরণ, ধর্ষণ, হত্যাসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ে। ২০১০ সালে তারা উপজেলার কুশুরা ইউনিয়নের কাশিপুর গ্রামের দানিশ (১৪) নামে এক কিশোরকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি করে। তবে ওই কিশোরের পরিবার অর্থ পরিশোধ করতে পারেনি। তারা বিষয়টি পুলিশকে জানায়।
র্যাব আরও জানায়, এদিকে মুক্তিপণের অর্থ না পেয়ে ওই কিশোরকে গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর মরদেহ ফেলে যায়। পুলিশ একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে কিশোরের মরদেহ খুঁজে পায়। এ ঘটনায় মৃতের মা শোভা আক্তার ধামরাই থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। পরে থানা পুলিশ আসামি জিন্নাতসহ তার একাধিক সহযোগীকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠায়। বিচার চলার সময় ১৮ মাস কারাভোগের পর আদালত তাকে শর্ত সাপেক্ষে জামিন দেয়। ২০২২ সালে ওই মামলায় অপহরণ ও হত্যায় জড়িত থাকায় জিন্নাতকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দেন আদালত। এরপর থেকেই আসামি গ্রেপ্তার এড়াতে আত্মগোপন করে। সে ছদ্মবেশ ধারণ করে সাভারসহ ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় পোশাক কারখানায় চাকরি ও রিকশা চালিয়ে জীবন নির্বাহ করতো।
র্যাব-৪ সিপিসি-২–এর কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট রাকিব মাহমুদ খান বলেন, ১২ বছর আগের মামলায় রায়ে যাবজ্জীবন দণ্ড পাওয়ার পর থেকে পালিয়ে ছিলেন জিন্নাত আলী। বুধবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সাভারে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে সংশ্লিষ্ট আদালতে সোপর্দ করার জন্য ধামরাই থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৫ ঘণ্টা, ২৬ মে , ২০২৩
এসএফ/জেএইচ