বরিশাল: প্রতীক বরাদ্দ পেয়েই আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচার-প্রচারণা শুরু করেছেন প্রার্থী ও তাদের কর্মী-সমর্থকরা।
বিশেষ করে শুক্রবার (২৬ মে) বেলা ১১টার পর নগরের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মেয়র প্রার্থীর পোস্টার লাগাতে দেখা গেছে তাদের কর্মীদের।
কর্মীরা বলেন, রাজনৈতিক দলের প্রার্থীর ক্ষেত্রে দলীয় প্রতীক থাকায়, তাদের প্রতীক আগে থেকেই নির্ধারিত ছিল। তাই তারা আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন, প্রতীক বরাদ্দের পর এখন আনুষ্ঠানিক ভাবে নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসেবে শহরের বিভিন্ন সড়কে পোস্টার লাগানোর কাজটি শুরু করেছেন।
তবে স্বতন্ত্র মেয়র এবং সাধারণ ও সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর প্রার্থীদের প্রতীক আজ চুড়ান্ত হওয়ায়, তাদের প্রতীকসহ পোস্টার লাগাতে কিছুটা বিলম্ব হবে বলে জানিয়েছেন স্ব-স্ব প্রার্থীর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্যরা।
এদিকে, শুক্রবার (২৬ মে) সকালে বরিশাল সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ কার্যক্রম শুরু হয়। রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির জানান, প্রতীক বরাদ্দের সময় নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণাসহ আচরণ বিধির বিষয়ে প্রার্থীদের বিস্তারিত জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে এবং নির্বাচনের নিয়ম, কানুন নিয়ে কোনো প্রার্থীর কোনো প্রশ্ন থাকলে সে বিষয়েও জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আজ সকালে প্রথমে মেয়র প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়। যেখানে আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ (খোকন সেরনিয়াবাত), জাতীয় পার্টির মনোনীত মেয়র প্রার্থী ইকবাল হোসেন (তাপস), জাকের পার্টির মিজানুর রহমান বাচ্চু, স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী মো. আলী হোসেন হাওলাদার উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের মনোনীত প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মো. ফয়জুল করিম, স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল আহসান রুপন ও মো. আসাদুজ্জামানের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে মেয়র প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দে পরপরই সংরক্ষিত এবং সাধারণ আসনের কাউন্সিলর প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়। প্রতীক পাওয়া প্রার্থীরা আঞ্চলিক নির্বাচন অফিস প্রাঙ্গণ থেকেই বিজয়ের লক্ষে ভোট চেয়েছেন ওয়ার্ড ও নগরবাসীর কাছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৯ ঘন্টা, মে ২৬, ২০২৩
এমএস/জেএইচ